
বসন্তে বাসন্তী শাড়ির আঁচলে
একমুঠো রঙিন স্বপ্ন এঁকেছিলাম ,
ফাল্গুনি বাতাস এসে দোলা দিয়ে যেত
মনের আঙ্গিনায় বারে বারে,
স্বপ্নের ডানা খুঁজে ফিরত
রাবেন্দ্রিক প্রেম ।
জয়নুলের তুলির রং
আমাকে রাঙায়নি,
জীবনানন্দের আনন্দমোহন
জীবন হয়নি,
অবহেলা ,উপেক্ষা আর নীয়তির চাদর
আমাকে জড়িয়ে রেখেছে ।
বসন্তে সুবাসিত ফুটন্ত ফুলগুলো
কেমন গন্ধহীন আর নিস্তেজ হয়ে যায়
কোন এক পড়ন্ত পলাতক বিকেলে,
সন্ধ্যার কিছু পরে
রাত্রির কালো আঁধার
আমাকে জাপটে ধরে ।
আমার বসন্ত বারবার
ঢেকে যায় কুয়াশার চাদরে,
বসন্তের কোকিল
লুকোচুরি খেলে নকশিকাঁথার মাঠে,
কিছুতেই যেন ছুঁয়ে দিতে পারি না
সব যেন অধরা ।
আমার প্রেম,আমার বসন্ত
যেন আকর্ষিক দমকা হাওয়ার মত ,
সময়ের হাতে হাত রেখে দেখি
বাল্যকাল ,যৌবনকাল সবই বিধ্বস্ত ,
শুকনো ফুলের মত চাপা পড়েছে কালের স্রোতে ,
হৃদয় দোমড়ে-মোচড়ে যায় অজানা ব্যথায়।
দিনলিপির শেষবেলায় দাঁড়িয়ে থাকি
ধু ধু মরু প্রান্তরে
বেশ পরিণত হযে,
কারো মনে মন
রাখার মত ভুল করি না ,
খুঁজি না বসন্ত ।

সুখময় ঠিকানায় ভুলেও কড়া নাড়ি না
জানি,সব ঠিকানায় আমাকে মানায় না,
বেঁচে থাকি চৈত্রের খরায়,
জীবন উৎসর্গ করি কবিতার নামে,
কবিতার শব্দে,ছন্দে ও কাব্যআলাপে
লিখি ব্যথাময় ইতিহাস।
এখন আমি পরিণত __
তাই তো মিথ্যে স্বপ্নের মায়াজালে জড়াই না,
তাই তো মেঘ দেখে বলতে পারি
এখানে কতটা জলমিশ্রিত আকাশের আর্তনাদ ,
সাগরের জোয়ার-ভাটা দেখে বলতে পারি
কতটা কষ্টের গভীরতা ,
বাসন্তী শাড়ি পরা যুবতী দেখে বলতে পারি
কতটা বেদনা লুকানো ,
আমার বসন্ত দেখে বলতে পারি
কতটা দীর্ঘশ্বাস ।