অর্থনীতিলিড নিউজ

ব্রয়লার,ডিমে আগুন, বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন আদার দামও

রাজধানীর বসন্ধুরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা; অথচ কয়েক দিন আগেও ছিল ৩৮-৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি, কয়েক দিন আগে ছিল ১৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা; যা আগে ছিল ৭০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা; যা আগে ছিল ৮০০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, আগে ছিল ৪০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, যা ছিল ১৬০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি, পূর্বে ছিল ১২০ টাকা, ডাল বর্তমানে ১৪৫ টাকা, আগে ছিল ১৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা কেজি, আগে ১২০ টাকা ছিল।

সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচাবাজারপ্রায় সব পণ্যের দামই বেড়েছে। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম হু হু করে বেড়েছে। এতে সাধ্যাতীত মূল্য দিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এ অসহীয় মূল্যে নাজেহাল হয়ে পওড়েছেন অল্প আয়ের মানুষ।

ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে দোকানের মালিকরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ থেকে প্রতি রাতের ব্যবধানে ১০-২০ টাকা বাড়তি দিয়ে পাইকারি ক্রয় করতে হচ্ছে। পরে বিক্রির সময়ও দাম বৃদ্ধি করা হয়। ফলে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় ৭০-৮০ টাকা।

এদিকে ঊর্ধ্বগতির বাজারে কয়েকটি পণ্যর দাম কমেছে। তার মধ্যে হচ্ছে- আলু ৩০ টাকা কেজির জায়গায় ২৮ টাকা, তেল ১৯০ টাকা থেকে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়।

 

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ভেদে সবজির দাম কিছুটা পার্থক্য হয়ে থাকে।

এদিকে শীত মৌসুমের সবজি শেষের দিকে হওয়ায় কিছু সবজির সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে। ফলে বাড়তি দাম দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বিশেষ করে বরবটি প্রতি কেজি ১২০, করলা কেজি ১৪০ টাকা। পটল কেজি ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা কেজি করে বিক্রি করতে দেখা গেছে ।

বসন্ধুরা বাজারে কাঁচা সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, শীত মৌসুম শেষ হওয়ায় বর্তমানে কাঁচা সবজির দাম কিছুটা চড়া। তবে বাজার ভেদে কোনো কোনো সবজির দাম ৫-১০ টাকা কম-বেশি হয়। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে।

বাঁড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এ দোকানদার যুগান্তরকে জানান, আগামী মাসে রোজা । সেই উপলক্ষ্যে মানুষ অগ্রিম পণ্য ক্রয় করার চেষ্টা করছে। ফলে কিছুটা সংকট দেখা দিচ্ছে। চাহিদার তুলনায় পণ্যর ঘাটতি হওয়ায় বাড়তি দাম দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে দোকান মালিকদের। ফলে ক্রেতাদেরও বাড়তি দাম দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে।

শুক্রবার বাজার করতে এসেছিলেন আব্দুস শুক্কুর। বর্তমানের বাজার সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একইরকমভাবে বাজারে বাড়তি দামে সব পণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে।

 

কষ্টের বিষয় হলো- কোনো জিনিসের দাম বাড়লে পরে আর কমে না। যতই দিন যায়, ততই বাড়তেই থাকে। আমাদের বেতন তো আর সপ্তাহ বা মাস পরপর বাড়ে না। শীতের ভরা মৌসুমে সবজির দাম কিছুটা কম ছিল; কিন্তু শীত কমতে শুরু করতেই সবজিগুলোর দাম হু হু বেড়েছে।

খোলা কাগজ

এমন আরও সংবাদ

Back to top button