ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
গাউসিয়া মার্কেটে পৌঁছানোর রাস্তা প্রায় পুরোটাই জ্যাম হয়ে আছে। রিকশাচালক মনু মিয়া জানালেন, এটা ঈদের আগমনী বার্তা। ঈদ পর্যন্ত এই রাস্তার এমনই থাকবে।
ফুটপাতের জনস্রোত ঠেলে মার্কেটে গিয়েও দেখা গেল ক্রেতাদের মুখর আনাগোনা। চাঁদনিচক মার্কেটে গজ কাপড় কিনতে এসেছিলেন শারমিন সুলতানা। বললেন, এখনই কিনে টেইলারে বানাতে না দিলে ঈদের আগে জামা পাওয়া অসম্ভব। যেহেতু শুক্রবার ছুটির দিন, তাই ভিড় হবে জেনেও আজকেই এসেছেন কাপড় কিনতে। ম্যাচিং করে জামার কাপড় কেনার পর সালোয়ারের কাপড় ও ওড়নাও কিনবেন একই মার্কেট থেকে।
মার্কেটের পাশাপাশি জমে উঠেছে ফুটপাতের কেনাকাটাও। গাউসিয়া, চাঁদনিচক, নিউ মার্কেট সংলগ্ন ফুটপাত ও ঢাকা কলেজের উল্টোদিকে প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার পর্যন্ত ফুটপাত সরব হয়ে আছে হাঁকডাকে। ক্রেতারাও কিছুটা কম দামে কেনাকাটা করার জন্য ভিড় করছেন এখানে। বালিশের কাভার থেকে শুরু করে পোশাক, বিছানার চাদর, পর্দা, তৈজস- সবকিছুরই দেখা মিলছে ফুটপাতে।
ঈদের আগের ছুটির দিনগুলোতে ক্রেতা সমাগম ও বিক্রি বাড়বে বলে আশা বিক্রেতা মোহাম্মদ সৈয়দের। তিনি চন্দ্রিমা মার্কেটে বিক্রি করছিলেন ছোটদের পোশাক। ক্রেতা সামলাতে সামলাতেই কথার উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি।
আবু বকর সিদ্দিক ফুটপাতে মেয়েদের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। যা নিবেন ২০০ বলে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন তিনি। সিঙ্গেল কামিজ ও কাফতান রয়েছে তার কাছে। জানালেন, এখনও আশানুরূপ বিক্রি না হলেও ঈদের আগে আগে বাড়বে বিক্রি।