আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ভোটগ্রহণ হবে ব্যালট পেপারে। কোনো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকবে না।
আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনেই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণ করা হবে। কোনো ইভিএম থাকবে না।
এর আগে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্ব কমিশনের ১৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সংশয়ে পড়ে ইসি। সংস্থাটির হাতে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামতের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা চায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে অর্থ বিভাগ কোনো সাড়া দেয়নি। ইসি থেকে অর্থের কাছে আবেদন করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, দুই ধাপে হলেও যেন মেরামত বাবদ সেই টাকা বরাদ্দ করা হয়। গত ২১ মার্চ চিঠি পাঠালেও ইসির কাছে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো জবাব আসেনি। এ নিয়ে অবশ্য নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান মার্চের মাঝামাঝিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে, তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হব। যদি টাকা না পাওয়া যায়, তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে ব্যালটে কতটা করব বা ইভিএমে আদৌ করব কি না। কাজেই সবটাই নির্ভর করবে অর্থ প্রাপ্তির ওপর।’
এর আগে গত বছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ১৫০ আসনে ব্যবহারের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্প হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। কয়েক দফা চিঠি চালাচালি করেও সেই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ পায়নি সংস্থাটি। চলতি বছর জানুয়ারিতে ইসিসচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, আর্থিক সংকটের কারণে প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।