গরমে নাকাল জনজীবন তাপপ্রবাহ থাকবে আরও এক সপ্তাহ
গ্রীষ্মের আগেই রোদের প্রখরতা বেড়েছে। উত্তপ্ত পথঘাট। প্রকৃতিতে যেন দাবদাহ বইছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাস্তাঘাটে পথচারীদের হাসঁফাঁস অবস্থা। এবার রোজার শুরুর দিকে বেশ স্বস্তি ছিল। তবে শেষের দিকে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন রোজাদাররা। কয়েকদিন ধরেই ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আরও সপ্তাহখানেক এ অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগসহ মৌলভীবাজার জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টি না থাকায় আরও সপ্তাহখানেক মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।
এ সময় কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, আগামী প্রায় এক সপ্তাহ বড় ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে দেশের উত্তর-পূর্বের সিলেটে অল্প বৃষ্টি হতে পারে। যদিও আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র বলছে, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া যশোর, রাজশাহীতে তাপমাত্রা উঠে গেছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। দেশের আরও বেশকিছু স্থানেও তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রেকর্ড করা হয়েছে। তাপপ্রবাহের এই অবস্থায় ভারি বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত হলেও নেই ঝড়ের সম্ভাবনা। এপ্রিলে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশে ২ থেকে ৩টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সে সঙ্গে মাসের শেষার্ধ্বে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের ফলে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টি এবং দুয়েক দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।