আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

সুদানে সেনাবাহিনী-আধাসামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে, নিহত বেড়ে ১০০

সুদানে তৃতীয় দিনের মতো রাতভর সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ জনে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১ হাজার ১০০ জন। দেশটির ডক্টর’স ইউনিয়নের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

জাতিসংঘের প্রস্তাবে ‘জরুরি মানবিক যুদ্ধবিরতিতে’ একমত হওয়ার পরও আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ও দেশটির সেনাবাহিনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। উভয় পক্ষই রাজধানী খার্তুমের মূল সাইটগুলো নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে।

আরএসএফ রাজধানী খার্তুমের সাইটগুলো দখল করার দাবি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং পার্শ্ববর্তী ওমদুরমান শহর। এ ছাড়া দেশটির উত্তরে দারফুর ও মেরোওয়ে বিমানবন্দরের পশ্চিমাঞ্চল।

কিন্তু কিছু বর্ণনায় ইঙ্গিত মিলেছে, সেনাবাহিনী বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। সেনাবাহিনী এর আগে অস্বীকার করেছিল যে আরএসএফ রাজধানীতে মূল সাইটগুলো দখল করেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বিমান হামলায় আরএসএফ ঘাঁটিগুলো উড়িয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে সেনাবাহিনী।

উভয় পক্ষই রাজধানী খার্তুমের মূল সাইটগুলো নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছেউভয় পক্ষই রাজধানী খার্তুমের মূল সাইটগুলো নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খার্তুমের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গুলি ও বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। খার্তুমের বাসিন্দা হুদা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ভয় পাচ্ছি, শব্দ আর আতঙ্কে গত ২৪ ঘণ্টা ঘুমাইনি আমরা।’

খার্তুমের আরেক বাসিন্দা খুলুদ খায়ের বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা কোথাও নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছি না। সমস্ত বেসামরিক নাগরিকদের বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু এটি সবাইকে নিরাপদ রাখতে পারেনি।’

সুদানের সামরিক শাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুগত সেনাবাহিনী এবং সুদানের ডেপুটি লিডার মোহাম্মদ হামদান দাগালু, যিনি হেমেদতি নামে পরিচিত তাঁর নেতৃত্বে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে এই লড়াই চলছে।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button