বুকের ব্যথার আদ্যোপান্ত
পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর কারনের মধ্যে হৃদরোগকেই সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়। করোনা মহামারীর পরে এর প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে আর আক্রান্তের বয়সসীমা কমে গিয়ে যুবক বয়সে ও ৩০-৪০ বছর বয়সের মানুষের অকালমৃত্যুর কারন হচ্ছে এই হার্ট এটাক। অতি সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে রাজু শ্রীবাস্তব ও কেকে’র মতো তারকা ব্যক্তিত্বকে হঠাৎ করে বুকের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখা যায়।
বাংলাদেশেও প্রতি ৪ টি মৃত্যুর মধ্যে ১ টির কারন হার্ট এটাক বা হৃদরোগ। বলা বাহুল্য এই হার্ট এটাক বা হৃদরোগ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ধরনের বুকের ব্যথা নিয়ে প্রকাশ পায় যা থেকে জরুরিভাবে সঠিক চিকিৎসা করলে রুগীর জীবন রক্ষা করা যায়। আজ আমরা এই বুকের ব্যথা ও হৃদরোগ সহ এর অন্যান্য কারনগুলো নিয়ে কথা বলব।
বুকে ব্যথা একটি উপসর্গ যা বিভিন্ন রোগের কারণে হতে পারে। এটি হালকা অস্বস্তি থেকে শুরু করে অসহনীয় ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে এবং একটি গুরুতর অসুখের লক্ষণ হতে পারে যার জন্য অবিলম্বে চিকিৎসা করা প্রয়োজন হয়- অন্যথায় রুগীর জীবন সংশয় দেখা দিতে পারে।
বুকে ব্যথার ধরন:
হৃদপিণ্ড বা কার্ডিয়াক ব্যথা:
কার্ডিয়াক ব্যথা, যা এনজিনা নামেও পরিচিত, হৃৎপিণ্ডের পেশীতে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহের অভাবের কারণে ঘটে। এই ধরনের রুগীরা প্রায়শই বুকে একটি ভার বা চাপের অনুভূতি হিসাবে বর্ণনা করে থাকে যা বাহু, ঘাড়, চোয়াল বা পিছনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ব্যথা শারীরিক পরিশ্রম, মানসিক চাপ বা ভরপেট খাবারের কারণে হতে পারে।
পরিপাকতন্ত্র বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যথা:
এ ধরনের ব্যথা পাচনতন্ত্রের সমস্যার কারণে হয়, যেমন অ্যাসিড রিফ্লাক্স, এসোফ্যাগাইটিস বা গ্যাস্ট্রাইটিস। এই ব্যথা প্রায়ই একটি জ্বালাপোড়া অনুভূতি হিসাবে বর্ণনা করা হয় যা বুকে বা উপরের পেটে অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা মশলাদার বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত অ্যালকোহল, চা বা কফি পান করা বা খাবারের পরপর শুয়ে পড়ার কারণে হতে পারে। তাছাড়া পিত্ত থলী ও অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ থেকেও এরকম তীব্র ব্যথা হতে পারে।
শ্বাসতন্ত্রের ব্যথা:
এধরণের ব্যথা ফুসফুসের সমস্যার কারণে হয়, যেমন নিউমোনিয়া, প্লুরিসি, পালমোনারি এমবোলিজম, নিউমোথোরাক্স ইত্যাদি। এই ধরনের ব্যথা একটি তীক্ষ্ণ, ছুরিকাঘাতের মতো অনুভুত হয় যা গভীর শ্বাস নেওয়া বা কাশির মাধ্যমে আরও তীব্র হয়। সাথে অন্যান্য উপসর্গ যেমন শ্বাসকষ্ট, কাশি বা জ্বর থাকতে পারে।
মাংসপেশীর ব্যথা:
বুকের পাঁজরের পেশী, হাড় বা জয়েন্টগুলির সমস্যার কারণে মাস্কুলোস্কেলিটাল ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা প্রায়শই একটি তীক্ষ্ণ ব্যথা হিসাবে বর্ণনা করা হয় যা নড়াচড়া করলে বা চাপ দিলে বাড়তে পারে। এই ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন বুকে আঘাত, অস্টিওআর্থারাইটিস বা ইন্টারকস্টাল ও ফাইব্রোমায়ালজিয়া।
মানসিক কারণে বুকে ব্যথা:
এধরণের ব্যথা আবেগজনিত বা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে হয়, যেমন উদ্বেগ, বিষণ্নতা বা প্যানিক আক্রমণ। এই ধরনের বুকে ব্যথা প্রায়শই বুকে চাপ বা চাপ হিসাবে বর্ণনা করা হয় যা অন্যান্য উপসর্গ যেমন ঘাম, মাথা ঘোরা বা শ্বাসকষ্টের সাথেও হতে পারে।
বুকে ব্যথার ধরন থেকে অন্তর্নিহিত রোগ বা কারণ সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া যেতে পারে। আপনি যদি বুকে ব্যথা অনুভব করেন, বিশেষ করে যদি এটি তীব্র মাত্রার হয় বা অন্যান্য উপসর্গ যেমন শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব থাকে তবে জরুরিভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
বুকে ব্যথার প্রধান কারণসমূহ:
বুকের ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে। ছোটখাটো সমস্যা যেমন বদহজম বা মাংসপেশীর টান থেকে শুরু করে হার্ট অ্যাটাক বা পালমোনারি এমবোলিজমের মতো জীবন-হানিকর অবস্থা এই উপসর্গের জন্য দায়ী হতে পারে। নিম্নে এরকম কয়েকটি কারণ নিয়ে আলোকপাত করা হলো:
এনজাইনা: এনজাইনা হল বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি যা হৃৎপিণ্ডের পেশীতে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহের ঘাটতি থেকে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত করোনারি আর্টারি ডিজিজ থেকে হয়, যা হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে প্লাক বা ব্লক তৈরি করে। এনজাইনাকে প্রায়ই বুকে চাপ হিসাবে বর্ণনা করা হয় যা বাম বাহু, ঘাড়, চোয়াল, কাঁধ বা পিঠেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
হার্ট অ্যাটাক: হার্ট অ্যাটাক হয় যখন হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে মাংসপেশীতে রক্ত প্রবাহে হঠাৎ বাধা সৃষ্টি হয়। এমনকি এই প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে বুকে তীব্র ব্যথা হতে পারে যা বুকে অসহনীয় বোঝা বা চাপের অনুভূতির সৃষ্টি করে। সাথে শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বমি বমি ভাব বা হালকা মাথাব্যথাও থাকতে পারে। জরুরিভাবে সঠিক চিকিৎসা না করলে অর্ধেক রুগী মারা যেতে পারে।
পরিপাকতন্ত্র বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা: গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা যেমন অ্যাসিড রিফ্লাক্স, গ্যাস্ট্রাইটিস, এসোফ্যাগাইটিস বা এসোপ্যাজিয়াল পার্ফোরেশনের কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে যা হার্টের সমস্যা বলে ভুল হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত বুকে জ্বালাপোড়ার মতো অনুভূত হয় যা খাওয়া দাওয়ার পরে বা বিছানায় শুয়ে পড়লে আরও তীব্রতর হতে পারে।
পেশীর সমস্যা: পেশীর মাংসে চাপ বা টান, পাঁজরের হাড়ে বা তরুণাস্থিতে আঘাত বা প্রদাহের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত তীক্ষ্ণ বা ছুরিকাঘাতের হয় এবং নড়াচড়া বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে তীব্রতর হতে পারে।
পালমোনারি এমবোলিজম: এই রোগে ফুসফুসে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলিতে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। সাধারণত উরু বা পায়ের শিরা থেকে জমাট বাঁধা রক্ত ফুসফুসের রক্তনালীতে এসে আটকে গিয়ে এই রোগের সৃষ্টি করে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস বা রক্ত মিশ্রিত শ্লেষ্মা বা কফ পড়া সহ অন্যান্য উপসর্গের সাথে হঠাৎ বুকে ব্যথা হতে পারে।
নিউমোথোরাক্স: আবরণী পর্দা লিক বা ছিদ্র হয়ে বাতাস ঢুকে ফুসফুসকে চেপে ধরলে শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
নিউমোনিয়া: নিউমোনিয়া হল ফুসফুসের একটি সংক্রমণ যা থেকে বুকে ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে যদি সংক্রমণ ফুসফুসের পর্দা বা প্লুরাতে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা সাধারণত একটি ছোট এলাকায় ধারালো বা ছুরিকাঘাতের মতো অনুভূত হয় এবং সঙ্গে কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে।
উদ্বেগ বা প্যানিক অ্যাটাক: উদ্বেগ বা প্যানিক আক্রমণের কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে যদি ব্যথার সাথে দ্রুত হৃদস্পন্দন, ঘাম বা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণগুলি অনুভুত হয়। রুগী এটিকে সাধারণত বুকে আঁটসাঁট বা চাপ হিসাবে বর্ণনা করে। রিলাক্সেশন বা শিথিলকরণ কৌশল ও উদ্বেগ এর উপশম হলে এই ব্যথা সেরে যেতে পারে।
নেশা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার : অতিরিক্ত এনার্জি ড্রিংক, কোকেন, ইয়াবা, আইস ইত্যাদি বিষাক্ত নেশাদ্রব্য সেবন থেকে হার্টের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে বুকে ব্যথা হতে পারে।
বুকের ব্যথার বিপজ্জনক লক্ষ্মণসমূহ:
বুকে ব্যথা এমন একটি উপসর্গ যা সবারই কোন না কোন সময়ে হতে পারে। ছোট থেকে প্রাণঘাতী পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে। বুকে ব্যথার কিছু বিপজ্জনক চিহ্ন বা Red Flags আছে যেগুলি সম্পর্কে জানা অপরিহার্য কারণ এগুলি গুরুতর কোন রোগ নির্দেশ করার সম্ভাবনা আছে। যেমন:
আকস্মিক সূচনা এবং তীব্রতা: যদি বুকে ব্যথা হঠাৎ করে দেখা দেয় এবং তীব্র আকার ধারণ করে সেটা হার্ট অ্যাটাক, অ্যাওর্টিক বা মহাধমনী ডিসেকশন বা পালমোনারি এমবোলিজমের লক্ষণ হতে পারে।
ছড়িয়ে পড়া ব্যথা: বুকের ব্যথা শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন বাহু ( বিশেষত বাম বাহু), পিঠ, ঘাড় বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়লে সেটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: শ্বাসকষ্টের সাথে বুকের ব্যথা হার্ট অ্যাটাক, পালমোনারি এমবোলিজম বা মহাধমনী বিচ্ছেদের ( Aortic Dissection) লক্ষণ হতে পারে।
ঘাম: ঘামের সাথে বুকের ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।
বমি বমি ভাব বা বমি: বমি বমি ভাব বা বমি সহ বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।
মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা: মাথা ঘোরা বা মাথা ব্যথার সাথে বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাক বা পালমোনারি এমবোলিজমের লক্ষণ হতে পারে।
ব্যায়ামের সাথে বুকে অস্বস্তি: ব্যায়ামের সময় বা পরে যে বুকে ব্যথা হয় তা এনজিনার লক্ষণ হতে পারে, যা হার্টের রক্তনালীতে ব্লকের কারণে হতে পারে।
হৃদরোগের ইতিহাস: কারো যদি আগে থেকেই হার্ট অ্যাটাক বা এনজিনা সহ হৃদরোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে সে পুনরায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকতে পারে।
কেউ যদি বুকে ব্যথার এই লক্ষ্মণগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করে তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। বুকের ব্যথা উপেক্ষা করা বা চিকিৎসকের পরামর্শ চাইতে দেরি করা একবারে অনুচিত, কারণ এটি জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে। মনে রাখা দরকার যে হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের চিকিৎসায় সামান্যতম সময়ক্ষেপণ না করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বুকের ব্যথায় কি করবেন এবং করবেন না
বুকের ব্যথা বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হতে পারে। এটা যেমন মাংসপেশীর টানের মতো ছোটখাটো সমস্যা থেকে হতে পারে, আবার হার্ট অ্যাটাকের মতো জীবনহানিকর রোগও বুকের ব্যথা নিয়ে প্রকাশ পেতে পারে। কেউ যদি বুকে ব্যথা অনুভব করে তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় এবং বর্জণীয় উপদেশ মনে রাখলে বড়ো বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যাবে:
করণীয়:
বুকের যে কোন ধরনের ব্যথাকে গুরুত্ব দিন, বিশেষ করে যদি এটি তীব্র, দীর্ঘস্থায়ী বা সাথে অন্য উপসর্গ যেমন শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, বমিভাব বা শরীরে ঘাম দিতে থাকে।
আপনি যদি বুকে ব্যথা অনুভব করেন যা কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, বা আপনার যদি আগে থেকেই হৃদরোগ বা তার ঝুঁকি থেকে থাকে তবে জরুরি নিকটস্থ হাসপাতালে যান বা অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্যানিক অ্যাটাকের আশংকা কমাতে শান্ত এবং শিথিল থাকার চেষ্টা করুন। চিকিৎসকের
নির্দেশিত হৃদরোগের বা অন্যান্য নির্ধারিত ওষুধ চালু রাখুন।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি অনুশীলন করুন, যেমন একটি সুষম খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং ধূমপান এবং অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলা।
করবেন না:
বুকে ব্যথা উপেক্ষা করবেন না। বিশেষ করে যদি এটি আপনার জন্য একটি নতুন বা অস্বাভাবিক উপসর্গ হয়।
চিকিৎসার জন্য দেরি করবেন না। ব্যথা নিজে থেকে কমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না।
গুরুতর বুকে ব্যথা নিয়ে বাসায় বা অফিসে বসে থাকবেন না। হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে নিজে গাড়ি চালিয়ে যাবেন না। দূর্ঘটনা এড়াতে ও সময় বাঁচাতে ড্রাইভার বা এম্বুলেন্স ডাকুন।
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন বা নির্দেশনা ছাড়া বুকের ব্যথার জন্য আন্দাজে কোন ওষুধ খাবেন না। চিকিৎসক বা জরুরি বিভাগের রোগ নির্ণয়ের আগ পর্যন্ত বুকের ব্যথাকে হৃদরোগের ব্যথা হিসাবে বিবেচনা করুন। মনে রাখবেন, হাত পা কোমর বা মাথাব্যথা আপনাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিতে পারে, তবে বুকের ব্যথাকে অবজ্ঞা বা অবহেলা করলে এই ভুল সংশোধনের জন্য আপনি বেঁচে নাও থাকতে পারেন। বর্তমান পৃথিবীর এক নাম্বার মারণব্যাধিকে মোকাবিলা করতে হলে এব্যাপারে সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নাই। আপনার ও আপনার পরিবারের সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্তই এই রোগের রক্ষাকবচ।
ডা: এস এম ইয়ার ই মাহাবুব
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক, কার্ডিওলজি বিভাগ
বিএসএমএমইউ