বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে থাকা ঘূর্ণিঝড় মোখা ‘সুপার সাইক্লোন’ হতে পারে বলে একটি পূর্বাভাস ছিল। তবে বাস্তবে তা ঘটেনি, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়া মোখা গতিবেগ হারিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রতিষ্ঠান স্কাইমেট ওয়েদার বলেছিল, শনিবার শেষ রাতের দিকে স্বল্প সময়ের জন্য ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। কিন্তু অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আর তীব্রতা পায়নি। কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৫ কিলোমিটার ছিল। এরপর উপকূল অতিক্রম শুরুর পর পর তা কমে ১৮৫ কিলোমিটারে নেমেছে।
শক্তির বিচারে আবহাওয়া বিজ্ঞানে সামুদ্রিক ঝড়গুলোর যে শ্রেণিভেদ করা হয়, তার সর্বোচ্চ ধাপে ‘সুপার সাইক্লোন’। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ২২২ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে সেটা ‘সুপার সাইক্লোন’।
ঘূর্ণিঝড়ের কোন স্তরে বাতাস কেমন থাকে
লঘু চাপ: বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩১ কিলোমিটারের নিচে
নিম্নচাপ: বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩১-৬১ কিলোমিটারের মধ্যে
গভীর নিম্নচাপ: বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫২-৬১ কিলোমিটারের মধ্যে
ঘূর্ণিঝড়: বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে
প্রবল ঘূর্ণিঝড়: বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯-১১৮ কিলোমিটারের মধ্যে
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়: বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৯-২২১ কিলোমিটারের মধ্যে
সুপার সাইক্লোন: বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২২ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে
বাংলাদেশে আঘাত হানা সর্বশেষ সুপার সাইক্লোন ছিল সিডর। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৬০ কিলোমিটার। তাতে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। তারপর আরও অনেক ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের মানুষ দেখলেও তত ক্ষতি আর হয়নি।