দেশের উন্নতি করতে হলে আওয়ামী লীগকেই দরকার
বাজেটের সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে দেশকে উন্নতি করতে হলে আওয়ামী লীগকেই দরকার মন্তব্য করে বলেছেন, সরকার পতনের আন্দোলনসহ আমরাতো অনেক রকমের কথা শুনি। আজকেই সরকার ফেলে দেবে। কালকেই এটা করবে, ওইটা করবে। আজকে যে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে মর্যাদা পেলাম, এটা আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না আসে তাহলে এটা বাস্তবায়ন করবে কে? আমাকে একটা লোক দেখান যে, সে করতে পারবে। নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করবে। একটি মানুষ দেখান। সেরকম কোন নেতৃত্ব আপনারা যদি দেখাতে পারেন আমার কোন আপত্তি নাই। আমরা জানি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে দেশকে উন্নতি করতে হলে আমাদেরকেই দরকার।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সমাপনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মহামারীর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এব স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনের ঘটনা যদি না ঘটতো তবে বাংলাদেশ আরও উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হতো। দেশবাসী আমাদের ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে বলেই আমরা টানা তিন মেয়াদে ১৫টি বাজেট দিতে পেরেছি। এটাই বর্তমান মেয়াদের শেষ বাজেট। এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের প্রথমে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটাই আমাদের শেষ বাজেট কিনা, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার আমি দেশের জনগণের ওপরই ন্যাস্ত করলাম।
এবারের বাজেটকে অনেক্ইে উচ্চবিলাসী বলেছে বলে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, অনেকেই বলছে এটা বাস্তবায়ন যোগ্য না। এ কথাগুলো সবসময় শুনে থাকি। কিছু লোক আছে সবকিছুতে নেতিবাচক কথা বলা অভ্যাস। তারা কোন কিছুই ভালো চোখে দেখে না। সেটা দেশের জন্য দুর্ভাগ্য। আমি এইটুকু বলতে পারি তারা হয়তো গ্রামে কখনো যায়নি, দেখেনি গ্রামের অবস্থা। আমাদের দারিদ্র্যতার হার গ্রামে হ্রাস পেয়েছে। শহরে হয়তো কিছুটা আছে। গ্রামের মানুষের কষ্ট তেমন নেই।
সংসদ নেতা ছাড়াও সমাপনি দিনে বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ, পররাষ্ট্্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে পাস হবে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ বাজেট।
সঙ্কটে ঘাবড়ানোর কিছু নেই উল্লেখ করে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের প্রতি এটাই বলবো বার বার আমাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, দেশের সেবা করতে পেরেছি। দেশকে উন্নয়নের ধারায় নিয়ে যেতে পেরেছি। দারিদ্রের হার কমাতে পেরেছি। আজকে বেকারতেœর সংখ্যা মাত্র তিনভাগ। ডিজিটাল পদ্ধতি হয়েছে। ৬ লাখের মতো ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করছে। তারা ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করছে। আমরা পিছিয়ে থাকব না। আমরা এগিয়ে যাব। সময়ে কালোমেঘ দেখা যায়।
তিনি বলেন, কোন সঙ্কটে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, সাহস নিয়ে তা মোকাবেলা করতে হয়। আমরা পরনির্ভরশীল নয়, কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে নয়- আমরা আত্মনির্ভরশীল ও আত্মমর্যাদা নিয়ে হয়ে বিশ্বের বুকে এগিয়ে যেতে চাই। কবির ভাষায় বলতে হয়- ‘মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ারে তার সূর্য হাসে’। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। এই দেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলবো এটাই মূল লক্ষ্য। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে আমরা মাথা উঁচু করেই চলবো ইনশাআল্লাহ। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট আধুনিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেটে অনেক কর আরোপ করা হয়েছে, কমানো হয়েছে। তবে দেশের মানুষের জন্য যদি বাজেটে কোথাও হ্রাস করতে হয় তা করবো। কর বাড়াতে হলে আইন লাগে, কিন্তু কমাতে গেলে আইন লাগে না। সেটি আমরা এসআরও’র মাধ্যমে করে দেব।
বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এই বাজেট প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনের কারণে বিশ্বে প্রতিটি জিনিষের দাম বেড়েছে, পরিবহণ ও সঞ্চালন ব্যয়ও বেড়েছে অনেক। সেই আঘাত বাংলাদেশের ওপরেও পড়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় যখন উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে, তখন আমরা একটা বাজেট দিতে পেরেছি সেটাই বড় কথা।
তিনি বলেন, বাজেট নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। আলোচনা বা সমালোচনা যেটাই করুক না কেন, বাজেট নিয়ে তারা যে চিন্তাভাবনা করছেন সেজন্য তাদেরকে আমি সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, করোনার মধ্যে আমরা সব ক্ষেত্রে প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম। ওই কঠিন সময়ে আমরা স্বাস্থ্যখাতের দিকে বিশেষ নজর দেই। বিপুল অর্থ ব্যয় করে করোনা ভ্যাকসিনসহ অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী পণ্য এনে আমরা দেশের জনগণের প্রাণ রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। সেক্ষেত্রে আমরা সফলও হয়েছি। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সারাবিশ্বের প্রশংসা পেয়েছে।
গত সাড়ে ১৪ বছরে সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সাফল্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে আমরা ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের ৬০তম অর্থনীতির দেশ। গত ১৪ বছরে সারাবিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ২০০৬ সালে দেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশ। আমরা তা ৫ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু বৈশ্বিক সঙ্কটের কারণে এখন তা কিছুটা বেড়েছে। বেশি দামে পণ্য কিনে কম মূল্যে দিতে হচ্ছে, এ জন্য রিজার্ভেও কিছুটা টান পড়েছে। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি, জনগণের কল্যাণ করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তাই মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
দেশের কোন মানুষ যাতে কষ্টে না থাকে সেদিক লক্ষ্য রেখেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী বছরেও কৃচ্ছতা সাধন করার নীতি অব্যাহত থাকবে। এ সময়ে দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে কম মূল্যে খাদ্যসহ অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এতে পাঁচ কোটির মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এই ঈদুল আজহাতেও এক কোটি পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সেজন্য দেশবাসীকে তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তাঁর আহ্বানে দেশের মানুষ সাড়া দিয়েছে। আমিও কাজ করে যাচ্ছি, গণভবনকে খামারবাড়িতে পরিণত করেছি।
বাজেটের ঘাটতি প্রসঙ্গে সংসদ নেতা বলেন, প্রতি বছর আমরা বাজেটে ৫ থেকে সাড়ে ৫ ভাগ ঘাটতি রাখি। এবারও ঘাটতি ৫ শতাংশই রাখা হয়েছে। তাই এ নিয়ে অতো চিন্তার কিছু নেই। আমরা বিদেশ থেকে ঋণ নির্ধারিত মাপকাঠির মধ্যেই রয়েছে। রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার মধ্যে আমদানী, বিদেশ ভ্রমণসহ সবকিছু বন্ধ ছিল বলে আমাদের রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে সবকিছু উন্মুক্ত হলে আমদানী বেড়ে যায়। এখনও আমাদের দেশের রিজার্ভ রয়েছে ৩০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে আমরা ৪/৫ মাসের আমদানী ব্যয় মেটাতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি প্রতিষ্ঠান, দপ্তর সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের সুদ, আসল এবং বিনিয়োগের মুনাফা বাবদ বিপুল অংকের অর্থ পাওনা রয়েছে। অর্থ বিভাগ এসব পাওনা আদায়ের জন্য চেষ্টা করছে। সকল প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, সেখানে আমাদের বিদ্যুতেও আছে। অনেক জায়গায় বিল দেওয়া হয়নি। সেগুলো আমরা দিয়ে দেব।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণের উন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করেই আমরা বাজেট দিয়েছি। আমদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে স্বাবলম্বী করা। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। পর মুখাপেক্ষী হতে চাই না। ভিক্ষা করে চলতে চাই না। আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে দেশ হিসাবে থাকতে চায়। এত বাধা, এত প্রতিরোধ, এত সমালোচনা, এতকিছু হচ্ছে কিন্তু আমাদের অর্থনীতির চাকা যাতে সচল থাকে সেই জন্য যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ এতদিনে অনেক দূর, অনেক উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হতে পারত। তবে আমি বলবো এখানে ভয়ের কিছু নেই। সময় সময় সমস্যাতো আসেই। এটা দেখে ঘাবড়ালে চলবে না, এটা মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং যুদ্ধজনিত মুদ্রাস্ফীতি তারই প্রভাব পড়েছে আমাদের ওপরে। কিছুটা আমাদের প্রবৃদ্ধি কমলেও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ছিলো। আমরা যথেষ্ট ভালো স্থানেই আছি। আমরা অর্থনৈতিক নীতি ও কার্যক্রমে একটি ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। ধারাবাহিকতায় গত সাড়ে ১৪ বছরে এ অর্জন এটা কিন্তু চট করে লাভ দিয়ে পড়িনি। আমরা ধীরে ধীরে অর্জনটা করতে সক্ষম হয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বিনিময় হারের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বেশি মূল্যে পণ্য কিনতে গিয়ে আমাদের রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েছে। টাকার মান কমে গেছে। মুল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। আমাদের প্রচেষ্টা করেছে মুল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলন, মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চলতি অর্থ বছরে এবং আগামী অর্থ বছরেও ক্ছ্রৃতাসাধন করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। কারণ এটার প্রয়োজন হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে চালের ওপর আমদানী শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ ধেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ডিজেলের মূল্য কমাতে আগামকর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি, খোলাবাজারে বিক্রি এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। কোন মানুষ যেন খাদ্যে কষ্ট না পায় সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভর্তুকি ব্যয় কমানোর জন্য আমরা ইতোমধ্যে জ্বালানীর মুল্য সামঞ্জস্য করা হয়েছে। বিদ্যুতের দাম মুল্য সামঞ্জস্য করা হয়েছে। কাজেই এটা আমাদের করতেই হবে সময়ে সময়ে। জ্বালানীখাতে ফর্মুলাভিত্তিক মূল্য সমন্বয় স্থায়ী পদ্ধাতি নির্ধারণে পথনকশাও আমরা তৈরি করছি। কিছুদিন আগে বিদ্যুতের একটা অভাব ছিলো। রাশিয়া-ইউক্রেন ও স্যাংশনের কারণে সারা বিশ্বব্যাপী প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যায়। এমন কী কয়লা, এলএনজি বা তেল পাওয়াও যাচ্ছিল না। যাহোক সেটা থেকে আমরা মুক্ত হচ্ছি। সবাইকে এটাই বলবো বিদ্যুত উৎপাদনে যে খরচ সেটা তো সবাইকে দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে আর কত ভর্তুকি আমরা দেবো। সেটাই আমাদের প্রশ্ন। কাজেই বিদ্যুত ব্যবহারে সবাই সাশ্রয়ী হবেন সেই আহ্বান জানাই।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করবো। আমরা সেই কাজ শুরু করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টি স্তম্ভ চিহ্নিত করা হয়েছে তা হলো-স্মার্ট সিটিজেট, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গর্ভমেন্ট ও স্মার্ট ইকোনমি। আমরা পরনিভর্রশীল থাকতে চাই না। আত্মনিভর্রশীল হতে চাই। আত্মমর্যাদাশীল হতে চাই। এজন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে বলেও মনে করে শেখ হাসিনা। বিদ্যমান কাস্টমস আইনকে আরও বেশি যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কর বহির্ভুত রাজস্ব আদায়ের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।