ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে আজ কার্তিকের ৫ তারিখ। হেমন্তের এই সময় আকাশ থাকবে ঝকঝকে নীল। সূর্য ছড়াবে মিষ্টি আলো। সঙ্গে হালকা হিম বাতাস। কিন্তু প্রকৃতির মাঝে এখন কোনো কিছুরই দেখা নেই। বরং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। ঝরছে ঝিরিঝিরি বা ভারী বৃষ্টি।
আজ সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের কারণে এ মাসের শেষে কিংবা নভেম্বরের শুরুতে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে যা পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ (তিন) নম্বর পুনঃ ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস বলেছে, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত ক্রমাগত নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে, যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সেক্ষেত্রে ঝড়টি এ মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের শুরুতে সর্বোচ্চ শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।