দুধে এলাচ, হরেক রোগের সমাধান
পুষ্টিগুণে দুধের বিকল্প নেই। প্রতিদিন রাতে খাবারের পর এক গ্লাস দুধ আপনার শক্তির জোগান দেবে। আর দুধের সঙ্গে ২টি এলাচ মিশিয়ে নিলেই পাচ্ছেন দ্বিগুণ উপকারিতা।
শরীরের অনেক মারাত্মক রোগ থেকেও বাঁচাবে এই খাবার। দুধের পুষ্টির সঙ্গে এলাচের উপকারিতা মিশে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে আরো জোরালো করে।
এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে দুটি এলাচ গুঁড়া করে পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। মিশ্রণটি তৈরি করে প্রতিদিন রাতে পান করতে পারেন।
দুধ ও এলাচের মিশ্রণটি নিয়মিত খেলে রক্তস্বল্পতা দূর করে দুর্বলতা দূর করে থাকে। এলাচে রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন-সি, আয়রন, কপার রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
হাড়ের শক্তি বাড়ায়
এলাচ-দুধ হাড়কে শক্তিশালী করে। দুধ ও এলাচে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ প্রচুর। একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা হাড়ের জন্য ভালো। এ জন্য বৃদ্ধদের দুধে এলাচ পানের করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
সর্দি থেকে মুক্তি
শীতের সময় সর্দি-কাশি কমন সমস্যা। আবহাওয়ার পরিবর্তনে ফলে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে ঘরে ঘরে। ঠান্ডা নিরাময়ে এলাচ বেশ উপকারী। তাই প্রতি রাতে এলাচের দুধ পান করতে পারেন। সর্দি-কাশি দুটোই ভালো হয়ে যাবে।
হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে
দুধ ও এলাচ উভয়তেই প্রচুর ফাইবার রয়েছে, যা হজম ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। দেহে হজমে পুষ্টি হিসাবে ফাইবারের ভূমিকা অনেক। যাদের খাবার খাওয়ার পর বদহজমের সমস্যা রয়েছে, তারা অবশ্যই এলাচ দুধ পান করবেন। এ ছাড়া হজমের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো রোগ থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
মানবদেহে রক্তে লোহিত কণিকা বা হিমোগ্লোবিন কম থাকলে রক্তস্বল্পতা দেখা হয়। দুধ ও এলাচের মিশ্রণ এ রক্তস্বল্পতা দূর করে দুর্বলতা কাটায়। দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। এলাচে রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন-সি, আয়রন, কপার রয়েছে, যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
মুখের ফোস্কা নিরাময়
আলসার হলে মুখে ফোস্কার সমস্যা দেখা যায়। পেট সঠিকভাবে পরিষ্কার না হওয়াও এর কারণ হতে পারে। এলাচ পেট পরিষ্কার করতে পারে। সে সঙ্গে আলসারও নিরাময় হয়। তাই প্রতিদিন এলাচ-দুধ পান হতে পারে আপনার আলসার সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায় উচ্চ রক্তচাপ। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ থেকে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক-সম্পর্কিত অনেক রোগ হয়। এ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এলাচ-দুধ কার্যকরী। উভয় খাবারেই ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ম্যাগনেশিয়াম এমন একটি পুষ্টি, যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে শরীরকে সতেজ রাখে।