কতক্ষণ হাঁটা জরুরী, একনজরে দেখে নিন!
এক্সক্লুসিভ স্বাস্থ্য বুলেটিন : হাঁটা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম। যেকোনো বয়সীর জন্য উপযুক্তও বটে। কিন্তু কতক্ষণ হাঁটবেন কিংবা হাঁটার গতি কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে আমাদের অনেকেরই খুব একটা ধারণা নেই। ব্যায়াম হিসেবে হাঁটার উপকারিতা কী ও কতক্ষণ হাঁটলে উপকার পাওয়া যাবে, তা জানাচ্ছেন ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট উম্মে শায়লা রুমকী।
নিয়মিত হাঁটার ফলে হৃদ্রোগ, বহুমূত্র বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ক্ষয়জনিত রোগের ঝুঁকি কমে। নিয়মিত হাঁটলে মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধি ও সহনশীলতা বেড়ে যায়, হাড়ের গঠন শক্ত ও মজবুত হয়। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে নিয়মিত হাঁটা উচিত।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। ডায়াবেটিসের রোগীদের প্রতিদিন একই সময়ে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটতে হবে। গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস ১৫ মিনিট করে, দ্বিতীয় তিন মাস ২০ মিনিট করে এবং শেষের তিন মাস ১০ মিনিট করে প্রতিদিন হাঁটতে হবে। তবে যাঁদের বয়স ৪০ বছরের বেশি এবং দীর্ঘদিন কোনো শারীরিক ব্যায়াম বা পরিশ্রমের কাজের সঙ্গে জড়িত নন, তাঁদের ক্ষেত্রে হাঁটার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
অন্যদিকে, যাঁদের অতিরিক্ত ওজন, তাঁদের হাঁটা শুরু করার আগে স্ট্রেচিং করে, মাংসপেশিকে রিলাক্স করে নিতে হবে। প্রয়োজনে স্ট্রেচিং জানার জন্য একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
যেকোনো সুস্থ মানুষের শারীরিকভাবে সক্ষম বা ফিট থাকতে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটতে হবে। চাইলে ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে পাঁচ দিন হাঁটতে পারেন। যদি সময় সুযোগ না থাকে তাহলে দিনে ১০ মিনিট করে তিনবারে হাঁটা যেতে পারে।
জগিং : ৩০ মিনিট হাঁটার পর ১০ মিনিট জগিং করতে পারেন। জগিং মানে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রথমে ডান পা, পরে বাম পা তুলে জাম্প করা। জগিংয়ের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন নেই। ঘরের যেকোনো একটি জায়গায় দাঁড়িয়েই করা যায়। প্রথমে শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে, তারপর গতি বাড়াতে হবে। অতিরিক্ত ওজন যাঁদের, তাঁরা প্রথমে আধা মিনিট করে জগিং করবেন, তারপর শরীরের অবস্থা বুঝে ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে হবে।
হাঁটতে যাওয়ার আগে : হাঁটার সময় আরামদায়ক জুতা বা জগিং শু পরতে হবে। পোশাকও হতে হবে আরামদায়ক ও ঢিলেঢালা। রোদ এড়াতে ভোরে বা সন্ধ্যার পর হাঁটতে বের হতে পারেন। হাঁটা শেষে কিছু স্ট্রেচিং করা দরকার; যেমন পায়ের আঙুলের ওপর দাঁড়ালে পায়ের পেছনের মাংসপেশির টান বা স্ট্রেচ হয়।
তবে ওজন কমানোর জন্য কেবল হাঁটা বা জগিং যথেষ্ট নয়। ব্যালেন্স ডায়েট জরুরি। নিয়ম করে নির্ধারিত সময়ে শরীরের ক্যালরি অনুযায়ী খেতে হবে।