এক্সক্লুসিভ নিউজজাতীয়জীবনযাত্রাদেশজুড়েফটো গ্যালারীলিড নিউজশিক্ষা

দেড় বছর পর স্কুলের ঘণ্টা বাজল আজ সকালে

দেড় বছর পর স্কুলের ঘণ্টা বাজল আজ সকালেএক্সক্লুসিভ নিউজ : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের উপস্থিতি থাকলেও শিক্ষার্থীদের পদচারণা ছিল না দেড় বছর। অ্যাসেম্বলিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মিষ্টি কণ্ঠে শোনা যায়নি জাতীয় সংগীত। চক-ডাস্টার-ঘণ্টার পাশাপাশি ধুলোর আস্তরণ পড়েছিল শ্রেণিকক্ষে। সব কিছু মাড়িয়ে দীর্ঘ দিন পর বেজেছে বিদ্যালয়ের ঘণ্টা। ঘণ্টা বাজিয়ে রোববার সকাল থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কথা হয় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসমা ও নুরুন্নাহারের সঙ্গে। তারা জানায়, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলে দেওয়ায় তারা মহাখুশি।

দেড় বছর পর স্কুলের ঘণ্টা বাজল আজ সকালেনুরুন্নাহার বলে, করোনা মহামারিতে বাড়িতে এক প্রকার বন্দি অবস্থায় ছিলাম। ঘরে বন্দি থাকতে গিয়ে মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছিলাম। মা-বাবা ঘরের বাইরে বের হতে দিতো না। মোবাইলে অনলাইন ক্লাস, ইন্টারনেট আর টিভিতে মন ভরছিল না। শিক্ষকদের কাছ থেকে সরাসরি শিক্ষা গ্রহণের মজা আলাদা। করোনার কারণে আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে সরাসরি শিক্ষা গ্রহণে বঞ্চিত ছিলাম।

আসমা বলে, সরাসরি শিক্ষা গ্রহণে এক প্রকার আনন্দ হয়। সেই আনন্দ থেকে আমরা এত দিন বঞ্চিত ছিলাম। করোনা যাতে আর সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত না করে তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করে সে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লাস নেওয়ার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনায় শিক্ষা কার্যক্রম যাতে বিঘ্ন না ঘটে, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশের পূর্বে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

দেড় বছর পর স্কুলের ঘণ্টা বাজল আজ সকালেগাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশনা সম্বলিত পরিপত্র সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে। এ সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শনিবারের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা এবং নো মাস্ক, নো সার্ভিস মেনে শিক্ষার্থীদের তিন ফুট দূরত্বে বসাতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল বিধান মেনে চলতে হবে। তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, আইসোলেশন কক্ষ স্থাপন, পর্যাপ্ত পানির কল, বেসিন স্থাপনসহ বিশেষ ক্লাস রুটিন, ডিজির নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সশরীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে গিয়ে প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবাসিক হোস্টেল আছে তা বন্ধ থাকবে।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button