আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

চীনের মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের খবরকে ‘মিথ্যা’ বললেন জো বাইডেন

চীনের মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের খবরকে ‘মিথ্যা’ বললেন জো বাইডেনআন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ সাত মাস পর গত সপ্তাহে ফোনালাপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। খবর এসেছে, ওই ফোনালাপে নাকি চীনের প্রেসিডেন্টকে সামনাসামনি বসে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান বাইডেন। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন সি চিন পিং। গণমাধ্যমজুড়ে যখন এমন খবর ঘুরে বেড়াচ্ছে, তখন একে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বাইডেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার তিনি এমন কথা জানান বলে উল্লেখ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সামনাসামনি বৈঠকের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি সামনে আনে সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তাদের খবরে বলা হয়, সি চিন পিং বাইডেনের আমন্ত্রণ তো রাখেনইনি, বরং উল্টো চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সুর নরম করতে বলেন।

এমন ঘটনায় বাইডেন হতাশ হয়েছেন কি না, সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ খবর সত্য নয়।’ এর আগেই গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলাইভান জানান, ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে দুই প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের সঠিক চিত্র তুলে ধরা হয়নি।

এদিকে প্রতিবেদনটি সত্য বলে জানায় ফোনালাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। সূত্রটি রয়টার্সকে জানায়, বাইডেনের সঙ্গে আলাপের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, সবকিছুর আগে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আবহ উন্নত করতে হবে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চীনা দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী অক্টোবরে ইতালিতে অনুষ্ঠেয় জি–২০ সম্মেলনে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে চান মার্কিন প্রসিডেন্ট। তবে অপর পক্ষ থেকে এমন জবাব আশা করেননি তিনি।

মার্কিন এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চীনের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউস। গত বছরের শুরুতে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই চীনের বাইরে পা রাখেননি সি চিন পিং।

গত সপ্তাহে দুই প্রেসিডেন্টের আলাপচারিতার পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। সেখানে বলা হয়, ফোনালাপে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এবং যেসব ক্ষেত্রে দুই দেশের স্বার্থ, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে ভিন্নতা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button