আন্তর্জাতিকএক্সক্লুসিভ নিউজলিড নিউজ

জাতিসংঘ তালেবানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো!

জাতিসংঘ তালেবানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো!
জাতিসংঘের প্রতিনিধি স্টিফেন দুজারিক। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তালেবানদের কথা বলার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি স্টিফেন দুজারিক নিশ্চিত করেন, তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি, যিনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার অনুরোধ করেছিলেন, বক্তাদের তালিকায় তার নাম নেই।

দুজারিক পরবর্তীতে জাতিসংঘে আফগান সরকারের পূর্ববর্তী প্রতিনিধি গোলাম ইসাকজাইকে নিশ্চিত করে একটি ইমেইল পাঠিয়েছেন। এখন তিনি বক্তা হিসেবে জাতিসংঘে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করবেন। দ্য ন্যাশনাল নিউজ।

মুত্তাকি তার চিঠিতে সুহায়েল শাহীনকে জাতিসংঘে আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছিলেন। এই ঘটনা তালেবান ও ইসাকজাইয়ের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি করে। ইসাকজাই একজন কূটনীতিক, যিনি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।

খবরে বলা হচ্ছে, সোমবারের (২৭ সেপ্টেম্বর) বক্তাদের তালিকায় তালেবান প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর নয়। টেনেসির ন্যাশভিলের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইনের গবেষক অধ্যাপক সমর আলী বলছেন, তালেবান তাদের সরকারের বৈধতা ও স্বাভাবিকীকরণ চায়।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সম্প্রতি একটি রেজোলিউশন জারি করেছে যাতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য তালেবানদের শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদেশী নাগরিক এবং আফগানদের দেশের বাইরে অবাধে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আফগানিস্তানকে অপারেশনের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে না দেওয়া মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। নারী ও সংখ্যালঘুদের অবস্থাও বিশেষ উদ্বেগের।

খবরে উল্লেখ করা হয়, গত সপ্তাহে তালেবান ঘোষণা দেয়, ছেলেদের জন্য আবার স্কুল আবার চালু হবে। কিন্তু তারা নারী শিক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই প্রতিশ্রতিগুলো পূরণ করা একটি স্থিতিশীল এবং নিরাপদ আফগানিস্তানের জন্য মৌলিক প্রয়োজন।

কাতার অবশ্য নেতাদেরকে সম্পৃক্ত থাকার জন্য উৎসাহিত করেছে। দেশটি বলেছে, তালেবানকে অস্বীকার করা এই সঙ্কটকে আরও বিলম্বিত করবে।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এই সপ্তাহে ইউএনজিএকে বলেন, তালেবানের সাথে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বয়কট করলে নেতিবাচক ফল আসবে। সেক্ষেত্রে সংলাপ ফলপ্রসূ হতে পারে। দোহা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে আলোচিত ২০২০ সালের মার্কিন প্রত্যাহার চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানদের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছিল।

সুহায়েল শাহিনকে আফগানিস্তানের পরবর্তী জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসেবে গ্রহণ করা হবে কি-না, সে বিষয়ে জাতিসংঘ তার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে, যতক্ষণ না নভেম্বরে স্বীকৃতি দানকারী কমিটির পরবর্তী বৈঠক হবে।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button