‘শিশুবক্তা’ মাদানীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
ঢাকা: আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় র্যাবের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত আসামির উপস্থিততে চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সাথে আগামী ৯ জানুয়ারি চার্জগঠনের তারিখ ধার্য করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, মাদানীকে গত ৭ এপ্রিল নেত্রকোনায় তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। আটককালে তাঁর কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। এসব মুঠোফোনে বেশ কিছু বিদেশি পর্নো ভিডিও পাওয়া যায়। পরদিন তাঁকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। র্যাব-১ মামলাটির তদন্ত করে।
মামলার এজাহারে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি আদালতে এসব অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারের কলমেশ্বর এলাকায় একটি কারখানা চত্বরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। ওই ঘটনায় ৭ এপ্রিল দিবাগত রাত গাছা থানায় র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন, তথ্য–উপাত্ত ইলেকট্রনিকস বিন্যাসে প্রকাশ ও সম্প্রচার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ বিক্ষোভকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়নি।