অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট না করে: বাহার
এক্সক্লুসিভ নিউজ, কুমিল্লা : বাহার বলেন, ‘আমি আপনাদের সব টিভির মাধ্যমে প্রশাসনকে বলতে চাই যে অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যেন পরিবেশ নষ্ট না করে। ক্যান্ডিডেট এবং সমর্থকরা উৎসবমুখর অবস্থায় আছে। সারা কুমিল্লায় উৎসবের আমেজ চলছে।’
অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট না করে সে বিষয়ে সাবধান করেছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে সোমবার ভোট দেয়া শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাহার বলেন, ‘আমি আপনাদের সব টিভির মাধ্যমে প্রশাসনকে বলতে চাই যে অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যেন পরিবেশ নষ্ট না করে। ক্যান্ডিডেট এবং সমর্থকরা উৎসবমুখর অবস্থায় আছে। সারা কুমিল্লায় উৎসবের আমেজ চলছে।
‘কোথাও ১০-১২ জন ছেলেপেলে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকলে অতি উৎসাহী কোনো কর্মকর্তা যেন তাদের হ্যারাস না করে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে তখন আপনারা কাজে নামেন। আমার প্রিয় কুমিল্লাবাসীর প্রত্যেকেই যেন সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব কর্মকর্তার প্রতি এটা আমার অনুরোধ।’
এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘আমি ভোট দিতে এসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ পেয়েছি। শান্তির কুমিল্লায় সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। সকালবেলা একটু বৃষ্টি হয়েছিল। ভোটাররা একটু হতাশ হয়েছিল যে কীভাবে ভোট দেবে।
‘আমার মনে হয় বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর ভোটাররা উৎসব-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিচ্ছেন। কারণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। কোথাও কোনো গন্ডগোল নাই, ঝামেলা নাই।’
কয়েকজন ভোটার ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ পেয়েছেন বাহার।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছ কমপ্লেন এসেছে যে কয়েকজন ভোটার আইডি নিয়ে গেছে কিন্তু চিঠি নিয়ে যায়নি। তাই তাদের ভোট দিতে দেয়নি। এখন চিঠি তো ভোটের অংশ না, আইডি অংশ। দুই-একজন ম্যাজিস্ট্রেট এমন আছেন যারা আইডি আটকে রেখেছেন।
‘আমি সব কর্মকর্তাদের বলব একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য আপনার সহযোগিতা করবেন।’
কুমিল্লা সিটিতে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে।
২৭টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ। ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন দুজন।
দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার। এরপর ২০১২ ও ২০১৭ সালে দুবার নির্বাচন হয়।
দুটি নির্বাচনেই জয় পান মনিরুল হক সাক্কু। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন, তবে দল ভোট বর্জন করায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন।
সাক্কুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত। স্বেচ্ছাসেবক দলের আরেক নেতা নিজামউদ্দিন কায়সারও আছেন ভোটের মাঠে। বাকি দুই মেয়র প্রার্থী হলেন কামরুল আহসান বাবুল এবং ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম।