দেশজুড়ে বুবলীর তালাশ
বিনোদন ডেস্ক : গত মঙ্গলবার ‘তালাশ’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে এসে বারবার স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছিলেন শবনম বুবলী। ডায়াসে দাঁড়িয়ে তিনি ফিরে গেলেন অভিনয়ের শুরুর সময়টায়। ২০০৬ সাল। শাকিব খানের সঙ্গে ‘বসগিরি’ দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর চলচ্চিত্রযাত্রা। ১৫ বছরের মাথায় এসে সেই বুবলী হয়ে উঠেছেন ঢালিউডের সবচেয়ে ব্যস্ত নায়িকা।
একগুচ্ছ সিনেমা এখন তাঁর হাতে, বেশির ভাগ আছে মুক্তির অপেক্ষায়। ‘বসগিরি’র নির্মাতা শামীম আহমেদ রনী, ‘মনের মতো মন পাইলাম না’ সিনেমার নির্মাতা জাকির হোসেন রাজুসহ এত বছরে যত নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছেন, সবার প্রতিই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন বুবলী। সবশেষে এলেন ‘তালাশ’-এর আলাপে।
কাল শুক্রবার ৫০টিরও বেশি হলে মুক্তি পাচ্ছে সৈকত নাসির পরিচালিত ‘তালাশ’। বুবলীর নায়ক হিসেবে এ সিনেমা দিয়েই অভিষেক হচ্ছে আদর আজাদের। ক্যারিয়ারের প্রথম বেশ কিছু সিনেমায় বুবলীর নায়ক ছিলেন একজনই—শাকিব খান। পরবর্তী সময়ে ওই গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী। অনেক সিনেমায় নতুন অভিনেতাদের সঙ্গেও কাজ করছেন। ‘তালাশ’ তার মধ্যে অন্যতম।
বুবলী জানালেন, এ সিনেমার নায়রা চরিত্রটি তাঁর খুব পছন্দের। এ পর্যন্ত যত সিনেমায় যত চরিত্র ধারণ করেছেন, কিছু চরিত্রের মায়া তাঁকে ছেড়ে যায়নি এখনো। বুবলী বলেন, ‘প্রথম সিনেমা “বসগিরি”র বুবলী চরিত্রটি কিংবা “মনের মতো মানুষ পাইলাম না”-এর অর্পিতা আমার অনেক ভালোবাসার। এ ছাড়া “টান” সিনেমার অবণী আমার অনেক পছন্দের। ঠিক তেমনি “তালাশ”-এর নায়রা চরিত্রটি আমার খুব কাছের। অনেক দিন ধরে চরিত্রটি নিজের মধ্যে ধারণ করেছি আমি।’
গত ঈদে ১০০টিরও বেশি হলে মুক্তি পেয়েছিল বুবলী অভিনীত ‘বিদ্রোহী’, তাঁর বিপরীতে ছিলেন শাকিব খান। সিনেমাটি অত ভালো ব্যবসা না করলেও বুবলীর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। তবে ‘তালাশ’-এর ক্ষেত্রে শুধু প্রশংসা নয়, ভালো ব্যবসাও আশা করছেন অভিনেত্রী। তাই সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখার অনুরোধ বারবার শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে।
‘তালাশ’ তৈরি হয়েছে নেশাগ্রস্ত এক রকস্টারের গল্প নিয়ে। সৈকত নাসির ও আসাদ জামান যৌথভাবে লিখেছেন গল্পটি। বুবলী বলেন, ‘এটি একটি সমসাময়িক গল্পের সিনেমা। ভালোবাসাময় একটি সিনেমা। যাঁরা প্রেম করেছেন, ভালোবেসেছেন, যাঁরা ভালোবেসে ব্যর্থ কিংবা সফল হয়েছেন কিংবা যাঁরা মিউজিক পছন্দ করেন—সবার জন্যই এই সিনেমা। সব ধরনের উপাদান “তালাশ” সিনেমায় আপনারা পাবেন।’