নাসরিন সরমিন
সমাজের অবক্ষয়ের রোষারক্ত নয়নে
কাতর স্বরের সম্ভাষণ নিষ্পেষিত।
আশীর্বাদী পতাকার নিশানা
ঘিরে রয় নিরাপত্তাহীন পান্থ পথের মৌনাবলম্বনে,
স্লোগান উঠে মুক্তির, নিরাপত্তার,
ক্ষীণ স্বরে অপ্রত্যাশিতভাবে
বিলীন হয় এসব কিছুর।
বিলীন হয় সাধ, স্বপ্ন
এমনকি মানবিক বোধেরও।
শত দ্বিধায় ঝুলে থাকে বিবেকবোধ।
বাহ্যিক দৃশ্যের দৃষ্টিতে সমাজ চাকচিক্যময়,
এসিড দগ্ধ নারী সুবিচারে কি পায়?
যৌতুকের কারণে স্বামীর হাতে অন্তঃসত্ত্বা নারী মাম্মী হত্যার সুবিচার কতটুকু হয়েছিল?
ধর্ষণে চার বছরের শিশু কন্যার মৃত্যু,
কি হবে এর প্রতিকার?
মুক্তিপণ দাবি মিটাতে পিতা-মাতা অক্ষম হওয়ায়
সপ্তম শ্রেণীর বালককে লাশ হয়ে
ভাসতে হয়েছে নদীতে।
মাঝে মধ্যেই ডাস্টবিনে অবলোকন করা যায়
পরিত্যক্ত শিশু।
ভবের খেলা কি নিদারুণ!
ব্যথিত মনের আড়ালে
তোলা রইল আরও অসংখ্য
অযাচিত প্রবহমান ঘটনা।
এরা কি শুধুই দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম হয়ে
আকর্ষণীয় গরম খবর-বার্তায় শোভা পাবে?
স্বাধীন দেশে খুঁজে পাওয়া যায় না মুক্তির স্বাদ
বারবার পরাধীনতা হাত বাড়ায়।
পচন ধরেছে সমাজের হৃদপিন্ডে
ঘূনপোকায় আক্রান্ত গোটা সমাজ।
জেগে উঠ তরুণের দল—
বিপর্যময় মানসিকতার ও বিবর্ণময় সমাজকে
প্রত্যাগমন করো
প্রাণোচ্ছল সবুজ সজীবতায়
আর সুস্থ মানসিকতায়।