কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নিখোঁজে দু’দিন পর রেখা খাতুন (২২) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর নামক এলাকার ব্রহ্মপুত্র চরে গমক্ষেতের কোনায় গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবুল হাশেম বাদী হয়ে রৌমারী থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে এজাহার দায়ের করেছেন। তবে পুলিশের দাবি, ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত রেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের আবুল হাশেমের মেয়ে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়, পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১২টার দিকে মায়ের কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন চেয়ে নেন রেখা খাতুন। এর পর থেকে তাকে বাড়িতে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সোমবার সকাল ১১টার দিকে একটি লাশের সন্ধান মেলে বন্দবেড় ইউনিয়নের ফলুয়ারচর এলাকার ব্রহ্মপুত্রের চরে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে গমক্ষেতের কোনায় গলায় ওড়না পেঁচানো এক যুবতীর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় উমর ফারুক লাশটি তার বড় বোনের বলে শনাক্ত করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত যুবতীর বাবা আবুল হাশেম বলেন, আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে দ্রুত তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন, লোক মারফত খবর পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। তিনি আরো বলেন, ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। ময়নাতদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।