দেশজুড়েলিড নিউজ

‘হিজরত’ করা জঙ্গিদের মধ্যে ২৫ জঙ্গি গ্রেপ্তার, দুজনের মৃত্যু

বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক বিশেষ অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় থানচি উপজেলার রেমাক্রি সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম। এ ছাড়া সাত লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্য ও অন্য তিনজন পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্য। পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্যরা নব্য জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।

আজ বুধবার ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বান্দরবান শহরের মেঘলায় পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

খন্দকার আল মঈন জানান, এই অভিযানসহ এ পর্যন্ত ৫৫ জন নব্য হিজরতকারী জঙ্গির মধ্যে ২৩ জনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। নিজেদের মধ্যে বিরোধে মারা গেছে দুজন এবং পুলিশবাহিনী আটক করেছে আরো দুজনকে। অবশিষ্ট ২৮ জনকেও আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।

খন্দকার মঈন জানান, এর আগে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক প্রধান রনবীরকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে বর্তমানে সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

খন্দকার আল মঈন জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আমরা ৫ জঙ্গিকে আটক করতে সক্ষম হই। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে থানচি উপজেলার রেমাক্রি ব্রিজের কাছাকাছি এলাকা থেকে আরো ১২ জঙ্গিকে আটক করা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ বা ‘কেএনএফ’ এর তিন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃত ২০ জনকে বিভিন্ন মামলায় আটক দেখিয়ে বান্দরবান আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button