আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল

সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বহু লোক প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ার মধ্যে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে শেষ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে। এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

দেশ দুইটির স্থানীয় কর্মকর্তা এবং চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, ভূমিকম্পে তুরস্কে ১২ হাজার তিনশ ৯১ জন এবং সিরিয়ায় দুই হাজার ৯৯২ জন মারা গেছে। এতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার তিনশ ৮৩ জনে।

স্থানীয় সরকারি বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা ছাড়াও উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা দেওয়ার দল। বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকারী ভারী যন্ত্রপাতি, অনুসন্ধানী কুকুর পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজের আপাত ধীরগতিতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রচণ্ড শীতসহ নানা কারণে ধসে পড়া স্থাপনায় আটকা পড়ার ৪৮ ঘণ্টার পর থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে। নাগরিকদের অনেকেই বলছে, উদ্ধারে কর্তৃপক্ষের ‘ধীরগতিতে’ তারা ক্ষুব্ধ। ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের পর ধার্য করা ‘ভূমিকম্প করের’ অর্থ কোথায় কিভাবে ব্যয় হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তুরস্কে এর আগের বড় ভূমিকম্প হয় ১৯৯৯ সালে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। তাতে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। ৬১ বছর বয়সী সেলাল দানিজ বলেন, ‘১৯৯৯ সাল থেকে আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা কর কোথায় গেল?’ দানিজ বলেন, তাঁর ভাই ও ভাতিজারা গতকাল পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে ছিল।

তুরস্কের আন্তাকইয়া শহরে উদ্ধারকর্মী ও অ্যাম্বুল্যান্স ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে ব্যস্ত থাকার কারণে কিছু মরদেহ বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে মৃতের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

আন্তাকইয়া শহরে হাতুড়ি ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে গর্ত তৈরি করে একজন যুবক ও এক কিশোরীর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তাঁরা বিষয়টি সরকারি উদ্ধারকারীদের জানিয়ে সাহায্য চান। তবে উদ্ধারকারীরা বলেন, তাঁরা জীবিত থাকা লোকদের উদ্ধারে অগ্রাধিকার দেবেন।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button