ত্বকের যত্নে এসেনশিয়াল অয়েল
ত্বকের পরিচর্যায় অনেকেই সারা বছর বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করেন। ত্বকের পরিচর্যায় যত বেশি ঘরোয়া উপকরণ কিংবা ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি জিনিস ব্যবহার করা যায় ততটা ত্বকের জন্য ভালো। সেক্ষেত্রে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন এসেনশিয়াল অয়েল কিংবা ন্যাচারাল অয়েল। এসেনশিয়াল অয়েল মূলত বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়েই তৈরি হয়। আপনি চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন। প্রয়োজনে এসেনশিয়াল অয়েলযুক্ত সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল দিয়ে ত্বকের পরিচর্যার পর সেই মুহূর্তে আর কিছু লাগানোর প্রয়োজন নেই ত্বকে। এসেনশিয়াল অয়েল কখনই সরাসরি ত্বকে লাগানো উচিত নয়। ক্রিম বা ময়শ্চারাইজারের সঙ্গে মিশিয়ে তারপর এসেনশিয়াল অয়েল লাগাতে পারেন।
ত্বকের যত্নে উপকারী যেসব এসেনশিয়াল অয়েল-
কোকোনাট অয়েল– নারকেল তেলযুক্ত যেকোনও এসেনশিয়াল অয়েল বিশেষ করে শীতের মৌসুমে ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে দারুণভাবে কাজে লাগে। ত্বকের জৌলুস ফেরাতে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করতে সাহায্য করে এই ন্যাচারাল অয়েল।
স্যান্ডালউড এসেনশিয়াল অয়েল: চন্দনকাঠ থেকে তৈরি হয় এসেনশিয়াল অয়েল বা ন্যাচারাল অয়েল। এর সাহায্যে ত্বকের দাগছোপ দূর হয়। ত্বকে কোনও সমস্যা বা সংক্রমণ হলে সেটাও দ্রুত কমে যায়।
আমন্ড অয়েল এবং শিয়া বাটার অয়েল: স্কিনের অ্যান্টি-এজিং অর্থাৎ ত্বকে বলিরেখার প্রভাব পড়তে দেয় না আমন্ড অয়েল। এর পাশাপাশি শিয়া বাটার যুক্ত এসেনসিয়াল অয়েল বা ন্যাচারাল অয়েল ত্বক আর্দ্র রাখে, দাগছোপ কালচে ভাব দূর করে।
জোজোবা অয়েল: ত্বকে কোন রোগ হলে কিংবা কেটে ছরে গেলে যে দাগ তৈরি হয় তা মেটাতে সাহায্য করে জোজোবা অয়েল। বিশেষ করে ওয়াক্সিংয়ের পর ত্বকে জোজোবা অয়েল লাগিয়ে নিলে ত্বক ভাল এবং মোলায়েম থাকে।
ত্বকের যেকোনও ধরনের কালচে দাগছোপ কিংবা কাটা দাগ হাল্কা করতে সাহায্য করে এসেনশিয়াল অয়েল। বলিরেখা রুখতেও সাহায্য করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরায় ও ত্বক মোলায়েম রাখে। ত্বকে কোনও অ্যালার্জি বা ইরিটেশন থাকলে সেই সমস্যাও দূর করে এই এসেনশিয়াল অয়েল।