চীনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মহড়া চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন
তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনা স্তিমিত হয়নি এখনো। তার আগেই আবারও চীনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালির কাছে সর্বকালের বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দেশের এ যৌথ মহড়া বেইজিংকে আরও তাতিয়ে দেবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, চীনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান ঘিরে তিন দিনের বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং।
চীনের এই সামরিক মহড়া শেষ হয় গতকাল সোমবার। এই মহড়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। এর এক দিন পর আজ মঙ্গলবার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন। যদিও এই মহড়ার তারিখ আগে থেকে ঠিক করা ছিল।
‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই’-নামের এই বাৎসরিক মহড়ায় দুই দেশের প্রায় ১৭ হাজার ৬০০ সেনা অংশ নেবে। মহড়ায় তাজা গোলা ব্যবহার করা হবে বলেও জানা গেছে। এছাড়া মহড়ায় জাহাজ ডুবানোর কাজে ব্যবহৃত রকেটের সক্ষমতাও পরীক্ষা করে দেখা হবে। যৌথ এ মহড়া চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
ফিলিপাইনের ইসাবেলা, কাগায়ান ও পালাওয়ান প্রদেশের আশপাশে এই মহড়া চলছে। ইসাবেলা ও কাগায়ানের উত্তর পাশে তাইওয়ানের অবস্থান। আর পালাওয়ান দক্ষিণ চীনে সাগরের বিতর্কিত স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের কাছে অবস্থিত।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়া চালিয়েছে মাত্র কয়েকদিন আগেই। উত্তর কোরিয়ার বারবার সেই মহড়াকে তাদের দেশে হামলার প্রস্তুতি বলে উল্লেখ করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বলেছে, ওয়াশিংটন ও সিউল এ অঞ্চলে পারমাণবিক যুদ্ধে আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।