ভ্রমণ

যৌবন ফিরেছে পাহাড়ে

যৌবন ফিরেছে পাহাড়ে

যৌবন ফিরেছে পাহাড়ে

শ্রাবণ মাস। চলছে বর্ষার দ্বিতীয় পর্ব। সামনে শরৎ। প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের প্রকৃতি। বৃষ্টিস্নাত মায়াবী সবুজ পাহাড় এখন যেন যৌবন ফিরে পেয়েছে। কাপ্তাই হ্রদ পানিতে টইটম্বুর। মাঝদুপুরে নীল আকাশে ভেসে যাচ্ছে মেঘের ভেলা। পাহাড়ি বনের দিকে পা বাড়ালে কানে ভেসে আসে ঝরনার শব্দ। নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে পাহাড়ে যাওয়ার দারুণ সময় এখন।

সাজেক

এ সময় যাঁরা সাজেক ভ্রমণের কথা ভাবছেন, তাঁদের ভাবনা একেবারে যথাযথ। বৃষ্টিস্নাত সাজেক এখন রূপের ডালি সাজিয়ে বসেছে। সবুজ প্রকৃতি আর নীল আকাশের প্রেক্ষাপটে ভেসে যাওয়া সাদা মেঘের ভেলায় সাজেক এখন অপরূপ।

রাঙামাটি শহর
হ্রদ-পাহাড়ের শহর রাঙামাটি। যাঁরা এ শহরে ভ্রমণের কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য অপেক্ষায় আছে রাঙামাটি। রাঙামাটির অনুচ্চ নীলচে সবুজ পাহাড়, টলটলে স্বচ্ছ পানির রুপালি হ্রদ হাতছানি দিচ্ছে পর্যটকদের। ঘুরে বেড়ানো তো বটেই, যাঁরা ভিন্ন রকমের খাবারের স্বাদ নিতে চান, তাঁদের জন্যও এটাই পাহাড়ে যাওয়ার উপযুক্ত সময়।

খাবারের স্বাদ বেড়েছে
শুনতে অবাক লাগতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বছরের সব ঋতুতে খাবারের স্বাদ এক রকম থাকে না। বৃষ্টি আর নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া পাহাড়ি খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক গুণ। এ সময় প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া খাবার থাকে একেবারেই নতুন আর তরতাজা। পাহাড়ের মানুষেরা জানিয়েছেন, এখন পাহাড়ে উৎপাদিত হরেক রকম সবজির স্বাদ মিলবে। কচি বাঁশের তরকারি অর্থাৎ টাটকা বাঁশ কোড়লের স্বাদ নেওয়া যাবে এখন। পাহাড়ের ছড়ায় এ সময় পাওয়া যায় দাঁড় কাঁকড়া বা চাকমা ভাষায় যাকে বলে মোন কাঁকড়া। মোন মানে বড় ও উঁচু পাহাড়। স্বাদে অতুলনীয় এ কাঁকড়া সামুদ্রিক কাঁকড়ার চেয়ে আকারে প্রায় দ্বিগুণ। স্বাদেও দুর্দান্ত। পাহাড়ে এখন খাওয়া যাবে আমিলা বা টকপাতা অথবা জুমে উৎপাদিত আঠালো মিষ্টিকুমড়া দিয়ে মোন কাঁকড়ার তরকারি।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানিয়েছেন, রাঙামাটির প্রকৃতিতে এখন ভরা যৌবন বিরাজ করছে। ২০ শতাংশ ছাড় চলছে পর্যটন করপোরেশনের হোটেলে। যেকোনো পর্যটক এ সুবিধা পাবেন।

সাজেক। ছবি: আজকের পত্রিকাসাজেক। সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ জানিয়েছেন, সাজেকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পর্যটক বরণে সাজেক প্রস্তুত।

রাঙামাটি সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানিয়েছেন, রাঙামাটির সব সড়ক বিপন্মুক্ত। পর্যটকেরা এখানে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেছেন, রাঙামাটির পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সবকিছু বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন রাঙামাটি থেকে কারফিউ তুলে নিয়েছে।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button