
রাঙামাটি জেলার সাজেক ইউনিয়নটি ‘সাজেক ভ্যালি’ নামেই পরিচিত। যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১ হাজার ৮০০ ফুট। সাজেক রাঙামাটিতে পড়লেও যাওয়া সহজ খাগড়াছড়ি দিয়ে। খাগড়াছড়ি জেলার শাপলা চত্বরে গেলেই দেখা মিলে সারি সারি জিপ, চান্দের গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশার। সাজেকে যাওয়া-আসার জন্য এসব বাহন ভাড়া হয় এক দিন বা দুই দিনের চুক্তিতে। খাগড়াছড়ি থেকে গাড়ি গিয়ে থামবে বাঘাইহাট। সকাল ও দুপুরে দুই টাইমে সেখান থেকে সাজেকের উদ্দেশে পর্যটক বহনকারী গাড়িগুলো রওনা দেয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে গাড়িবহরের সামনে ও পেছনে থাকে সেনাবাহিনীর জিপ। আর এখান থেকেই শুরু সাজেক অভিমুখে স্বপ্নযাত্রা।

মেঘে ঢেকে গেছে পাহাড়

সাজেকের পূর্বে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে বাংলাদেশের দীঘিনালা। পূর্ব ও পশ্চিমমুখী উভয় পাশ থেকেই সামনে যত দূর চোখ যায় সবুজ পাহাড়ের দেখা মিলবে। মিজোরামের দিক থেকে দেখা যায় সূর্যোদয়, পশ্চিমে মানে দীঘিনালার দিকে মিলে সূর্যাস্তের দৃশ্য। সেখানের ভোরের দৃশ্য দেখলে মনে হয়- সাদা মেঘের চাদরে ঢেকে গেছে পাহাড়। সূর্য ওপর দিকে উঠার সঙ্গে সঙ্গে মেঘ থেকে উঁকি দেয় পাহাড়।

সাজেকের পশ্চিম দিক থেকে দীঘিনালার দৃশ্য
অন্যদিকে রুইলুই পাড়ায় রয়েছে গাছের ওপর বাড়ি বা গাছবাড়ি। লুসাইদের রাজার বাড়ি, সাধারণ বাড়িঘর, তৈজসপত্র সবকিছুই রয়েছে। এর একটু সামনে এগিয়ে গেলে হেলিপ্যাড। এটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সাজেকে এই জায়গা থেকে একসঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। আর সঙ্গে পাহাড় আর মেঘের লুকোচুরি তো রয়েছেই।

কংলাক পাহাড়ের চূড়ার দৃশ্য
সাজেকের শেষ গ্রাম ও সবচেয়ে উঁচু জায়গা কংলাকপাড়া। যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ১৮০০ ফুট। কংলাক পাহাড়ের পাদদেশ থেকে হাঁটতে হাঁটতে চূড়ার অংশে গেলে শীতল বাতাসে দূর হয়ে যায় সব ক্লান্তি। আশপাশের পাহাড় এবং ঘরবাড়িগুলো দেখলে মন ছুঁয়ে যায়। আর পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়ালে মনে হয়, যেন মেঘের ভেলায় ভাসছি। এখান থেকে ভোরের সূর্যোদয় ওবিকেলে সূর্যাস্ত দুটোই উপভোগ করা যায়।
