নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের সব মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ খুলে দেওয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে প্রথম, দ্বিতীয় এবং পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। এরপর ধাপে ধাপে সব বর্ষের ক্লাস শুরু হবে। স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আন্তঃ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে আজ সকালে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অগ্নিদগ্ধ রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার দেশের প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের এক প্রশ্নর জবাবে তিনি সংসদকে এ তথ্য জানান। এ ছাড়া ময়মনসিংহ-১১ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জানান, দেশের ৩৮টি সরকারি মেডিকেল করেজে ৪ হাজার ৩৫০টি ও ৭৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ৬৫৪টি আসন রয়েছে।
নোয়াখালী-২ আসনের সাংসদ মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে অনুমোদিত বর্তমানে পদ সংখ্যা ৭২০ জন। অনুমোদিত জনবলের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত জনবলের সংখ্যা ৩৭০ জন।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালসমূহ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য অধ্যাদেশ মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণ হয়ে থাকে। বাস্তবতার নিরিখে উক্ত অধ্যাদেশে মোতাবেক বেসরকারি হাসপাতালসমূহ স্থাপন ও পরিচালনা সময়োপযোগী নয় বিধায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন, ২০১৯ শীর্ষক একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিগগিরই উক্ত আইনের রূপরেখা চূড়ান্ত করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।