অপরাধজীবনযাত্রা

মানবপাচার মামলায় কুয়েতে পাপুলের ৭ বছর কারাদণ্ড

মানবপাচার মামলায় কুয়েতে পাপুলের ৭ বছর কারাদণ্ডঢাকা: মানবপাচার মামলায় বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছেন কুয়েতের শীর্ষ আপিল আদালত। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে মোট সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৭ লাখ ‍কুয়েতি দিরহাম জরিমানাও করা হয়েছে। খবর গালফ নিউজের

অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের জুনে কুয়েতে গ্রেফতার হন পাপুল। পরে ঘুষ লেনদেনের দায়ে চার বছর এবং মানব পাচারের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

পরে রাষ্ট্রপক্ষ মানবপাচার মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করলে কুয়েতের সর্বোচ্চ আদালত মানবপাচার মামলায় পাপুলের সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে দেন। রায়ে আদালত আদেশ দিয়েছেন, সাজা ভোগ করার পর পাপুলকে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।

মানবপাচারের এই মামলায় কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল জাররাহ এবং জনশক্তি পরিচালক হাসান আল খেদরকেও একই মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কুয়েতের সরকারি এই দুই কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বহুল আলোচিত এই মামলায় কুয়েতের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ খুরশিদকেও ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৭ লাখ ৪০ হাজার কুয়েতি দিরহাম জরিমানা করা হয়েছে। আদালতের এই রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ।

গত ফেব্রুয়ারিতে কুয়েতের একটি অপরাধ আদালত বাংলাদেশি সাবেক সংসদ সদস্য পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং ১৯ লাখ কুয়েতি দিরহাম জরিমানা করেন।

নিজের একটি কোম্পানির মাধ্যমে কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে কুয়েতে শ্রমিক পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে পাপুলের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশি কয়েক ডজন শ্রমিককে অবৈধভাবে কুয়েতে পাঠানোর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের এই সাবেক এমপি।

আদালতের রায়ে দণ্ডিত হওয়ার পর পাপুলের সংসদ সদস্য পদও বাতিল করা হয়।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button