বিনোদন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চিত্রনায়ক ওমর সানী ফেসবুকে একটি পারিবারিক ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘সবাই ভালো থাকবেন, দোয়া করবেন আমাদের জন্য।’
চমৎকার পারিবারিক আবহের একটি ছবি। এক টেবিলে খেতে বসেছেন মৌসুমী, ওমর সানীসহ পরিবারের সদস্যরা। ছোট একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ছেলে ফারদিন কিছু একটা অভিনয় করে দেখাচ্ছেন, আর তা দেখে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন মৌসুমী। সবাই বেশ খোশমেজাজেই আছেন। এসব ছবি-ভিডিও সানী-মৌসুমী ভক্তদের মনে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিয়েছে নিশ্চিত। সবার প্রত্যাশা, তাঁদের পারিবারিক ঝামেলা এবার বুঝি মিটল!
এ বিষয়ে কথা বলতে মৌসুমীর ফোনে কল করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে ব্যস্ততার মধ্যেও কথা বলেছেন ওমর সানী। নতুন ব্যবসা শুরু করছেন বলে জানালেন তিনি। সেটা নিয়েই ব্যস্ত। সানী বললেন, ‘ভাই, সেলিব্রিটি হলেও তো আমরা মানুষ। আমাদেরও দুঃখ আছে, কষ্ট আছে, ভালো লাগা আছে। মন খারাপ হওয়া আছে। পারিবারিক ডিস্টার্বেন্স আমাদেরও থাকে। কিন্তু সবাই কেন যেন আমাদের পণ্য বানিয়ে ফেলে। তাই এসব পারিবারিক বিষয় নিয়ে এখন কথা বলতে আর একদম ইচ্ছা করে না। কিছু হলে আমি নিজেই জানাব। সেটা সরাসরি হোক বা ফেসবুকে হোক। চেষ্টা করছি পারিবারিক অশান্তিগুলো কাটিয়ে উঠতে। ব্যবসায় মন দেওয়ারও চেষ্টা করছি। আমাদের জন্য, আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’
সম্প্রতি অভিনেতা-প্রযোজক ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে জায়েদ খানকে চড় মারেন ওমর সানী। সঙ্গে সঙ্গে জায়েদ খান পিস্তল বের করে সানীকে হুমকি দেন—এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওমর সানী। চড় মারার কারণ হিসেবে সানী দাবি করেন, কয়েক মাস ধরে মৌসুমীকে ডিস্টার্ব ও অসম্মান করছেন জায়েদ খান।
১১ জুন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ১২ জুন রাতে শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেন সানী। ১৩ জুন এক অডিও বার্তায় সানীর সব অভিযোগ অস্বীকার করে জায়েদ খানের পক্ষে কথা বলেন মৌসুমী। তিনি জানান, জায়েদ খান ভালো ছেলে, তিনি মৌসুমীকে কোনো রকম অসম্মান করেননি। এর পরেই সানী জানান, এক বাসায় থাকলেও মৌসুমীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগই নেই তাঁর। গণমাধ্যমে মুখ খোলেন সানী-মৌসুমীর পুত্র ফারদিন। তিনি দাবি করেন, তাঁর বাবার অভিযোগ সত্য। জায়েদ খান তাঁর মাকে হয়রানি করেন। এমনকি তাঁদের ব্যবসার মধ্যেও ঝামেলা করেন জায়েদ খান।
এত সব বিতর্ক ও আলোচনার মাঝে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওমর সানীর শেয়ার করা পারিবারিক ছবিটিকে সানী-মৌসুমীর পরিবারে স্বস্তি ফেরারই ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই আনন্দেই হয়তো এক টেবিলে খেতে বসেছেন সানী-মৌসুমী, চলছিল বিরিয়ানি উৎসব।