আন্তর্জাতিক

ট্রায়ালে ‘সফল’ রাশিয়ার ক্যান্সার ভ্যাকসিন

ট্রায়ালে ‘সফল’ রাশিয়ার ক্যান্সার ভ্যাকসিন

ক্যান্সারের ভ্যাকসিন (টিকা) তৈরির ক্ষেত্রে প্রাথমিক ট্রায়ালে শতভাগ সাফল্য দাবি করেছেন রুশ বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি সত্যি হলে অদূরভবিষ্যতে মারণ রোগটির চিকিৎসা পেতে যাচ্ছে বিশ্ব। শুনতে বিস্ময়কর হলেও এমনটা হতে যাচ্ছে। রাশিয়ার ফেডারেল মেডিকেল ও বায়োলজিক্যাল এজেন্সির (এফএমবিএ) প্রধান ভেরোনিকা এসকেভরসোভা ইন্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে এ ঘোষণা দেন।

গতকাল রোববার রুশ বার্তা সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে এ খবর জানিয়েছে। এফএমবিএর দাবি– তাদের তৈরি করা ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যালি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। এন্টেরোমিক্স নামের ভ্যাকসিনটি তৈরি এমআরএনএ প্রযুক্তিতে। ঠিক একই প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছিল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনও। এ প্রযুক্তিতে ভ্যাকসিন ভাইরাসকে দুর্বল বা আক্রমণ করে না। বরং শরীরের কোষকে প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে। এ প্রোটিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়।

ভেরোনিকা এসকেভরসোভা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণা চলছিল। তিন বছর ধরে চলে প্রাথমিক ট্রায়াল। এ ট্রয়ালে দেখা গেছে, বার বার দেওয়ার পরও এ ব্যাকসিনটি নিরাপদ। এটি অত্যন্ত কার্যকর। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, টিউমার সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে; কখনও এটা ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হচ্ছে। অপর আরেকটি সূত্রে দাবি করেছে, টিকাটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল নাকি ১০০ শতাংশ সফল।
টিকা তৈরি ও তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনেকগুলো ধাপ থাকে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পশুর শরীরে পরীক্ষা চলে। তারপর তিন ধাপে মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালিয়ে টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা হয়। রাশিয়ার তৈরি টিকাটি এখন প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করেছে।

জানা যায়, চার ধরনের ভাইরাসের নমুনা নিয়ে ‘এন্টেরোমিক্স’ টিকা বানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, টিকাটি ত্বকের সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্যান্সার মেলানোমার ঝুঁকি কমাতে পারবে। তা ছাড়া অগ্ন্যাশয়, কিডনি ও ফুসফুসের ক্যান্সার থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবে। তবে এটি যে প্রক্রিয়ায় কাজ করে, তাতে অন্য ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও নিরামক হবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button