স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ৮৫ হাজার নার্স কাজ করছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার সরকারি, আর বাকিরা বেসরকারি। দেশে নার্সদের ৩৫০টি ইনস্টিটিউটে ৩৪ হাজার সিট আছে।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের ২৭তম কমপ্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, একজন রোগীকে ডাক্তার শুধু দিয়ে যায়, নার্সরা সার্বক্ষণিক সেবা দেয়। স্বাস্থ্য সেবার জন্য নার্সদের ভূমিকা অনেক। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্পেশালাইজড নার্স তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। এতে করে নার্সিং সেবা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। নার্সদেরকে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সেবা দিতে হবে।
বিদেশে বাংলাদেশি নার্সের চাহিদা অনেক জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আমরাও চাই আমাদের নার্সরা বিভিন্ন দেশে সেবা দিয়ে বাংলাদেশের সম্মান বয়ে আনুক। এজন্য তাদেরকে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের আওতায় এনে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ নার্স রয়েছে, তার চেয়ে আরও দ্বিগুণের বেশি প্রয়োজন। আমরা গত দশ বছরে ৩৪ হাজার নিয়োগ দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে চাহিদা মতো আরও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ সরকারি হাসপাতালগুলোতে দুইটার পরে কোনো ডাক্তার থাকে না। কিন্তু দুইটার পরেই হাসপাতালে রোগী বেশি থাকে। সেকারণে আমরা হাসপাতালগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক চেম্বার কার্যক্রম শুরু করেছি। একজন চিকিৎসক বাইরে যে সময় দিত, সেটাই এখানে দিবে। এতে করে হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি থাকে, তারাও সেবা নিতে পারবে।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর (এনডিসি), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক টিটো মিয়া প্রমুখ।