ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর আদাবর এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী সোহেল রানাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার আদাবর থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম ইবরাহীম খলিল।
মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম খান নিখিল, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন উর রশিদ, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমারসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে আবেদন করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, মামলার আবেদনে বলা হয়- ছাত্র জনতার নেওয়া যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। কোন প্রকার উসকানি ছাড়া পুলিশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী একত্রিত হয়ে ছাত্র জনতার উপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বহু মানুষ হত্যা করে। তৎকালীন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী আন্দোলন চলাকালীন তা শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ভিকটিম পেশায় একজন গার্মেন্টকর্মী। দেশব্যাপী কোটা আন্দোলনের সময় আদাবর থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। সে সময় স্বৈরশাসকের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী পুলিশ ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা তথা আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। ভিকটিমসহ ঘটনাস্থলে আসামিদের গুলিতে একাধিক নিহত ও অনেকেই আহত হন। এসময় গুলিবিদ্ধ হলে ভিকটিম সোহেল রানাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।