রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির শাহবাগ থানা-পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও মো. পলাশ সরদার (৩০)। আজ বুধবার (১৪ মে) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটে ভিকটিম তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। রমনা কালীমন্দিরের উত্তর পাশে পুরোনো ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন দুষ্কৃতকারী তাঁদের মোটরসাইকেল দিয়ে শাহরিয়ার আলম সাম্যর মোটরসাইকেল ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। উক্ত বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা ভিকটিম ও তাঁর বন্ধুদের ইট দিয়ে আঘাতে আহত করে। এ সময় একজন দুষ্কৃতকারী ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের ঊরুর পেছন দিকে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে দুষ্কৃতকারীরা তাঁকে এবং তাঁর বন্ধুদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ভিকটিমকে তাঁর বন্ধুরা উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই এস এ এম শরিফুল আলমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার পর থানা-পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত আসামি তামিম, সম্রাট ও পলাশের অবস্থান শনাক্ত করে। আজ সকালে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।