শিক্ষার্থীদের ফাইজা ও মডার্নারের টিকা দেওয়া হতে পারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : সংক্রমণের মাত্রা এখনো ১০ শতাংশের ওপরে থাকলেও আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর খুলছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৮ বছরের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মানার কথা জানিয়েছে সরকার। সে অনুযায়ী তাদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। শিক্ষার্থীদের কোন প্রক্রিয়ায় টিকা দেওয়া হবে আগামীকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের একটা বিষয় আছে। শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছরের ওপরে হলে ডব্লিউএইচওর নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো ধরনের টিকা দেওয়া যাবে। আর ১২ বছরের বেশি হলে অন্যান্য দেশে যেভাবে দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে শিশুদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরাও এটি অনুসরণ করতে পারি।
ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের টিকা মজুত আছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যাদের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, তাদের আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। প্রথম দোজ যে কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজও একই কেন্দ্র থেকে নিতে হবে। গ্রামে টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ কম ছিল। আমরা তাদের অনুপ্রাণিত করতেই এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম।
চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ৮০ ভাগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এরই মধ্যে টিকার আওতায় এসেছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, টিকা প্রাপ্তির ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও টিকা নিশ্চিত করা হবে। চীনের সঙ্গে নতুন করে ছয় কোটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে সাড়ে ১০ কোটি টিকা অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ এসব টিকা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এই সাড়ে ১৬ কোটি টিকা পেলে সংকট কেটে যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বর্তমানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবীর সংখ্যা প্রায় সমান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি একজন চিকিৎসকের অনুপাতে তিনজন নার্স থাকবে, আমরা সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছি। এই মুহূর্তে সারা দেশে ৭০ হাজার স্বাস্থ্যসেবী রয়েছেন। নতুন করে ১৪ হাজার ৬৩৮ জন নিয়োগ পরীক্ষা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য সেবায় আমাদের নার্সদের ভূমিকা অনেক বেশি। ডাক্তাররা চিকিৎসা দিয়ে চলে যান। কিন্তু রোগীর সেবা থেকে শুরু করে বাকি সবটা করেন নার্সরাই।