‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশেই সম্ভব’
ঢাকা: লিভার সিরোসিস আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় উনাকে অন্যত্র স্থানান্তরে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। সংগঠনটি বলছে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশেই সম্ভব। দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই এ রোগের বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। বিবৃতিতে বিএমএ’র বর্তমান ও সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও দেশের প্রথিতযশা ছয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সই রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশের সরকারি/বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম; তা করোনাকালীন দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কেননা এই সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব জটিল রোগে আক্রান্তরা দেশেই চিকিৎসা নিয়েছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খালেদা জিয়া বর্তমানে যে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সেখানে তিনি বা তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে বিদেশ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে এনে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় উনাকে অন্যত্র স্থানান্তর করা উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিরর আশঙ্কাই বেশি বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করেন। যা ওই হাসপাতালের চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসকরা প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং, রাজনৈতিক বিবেচনায় না নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দেশেই তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
বিবৃতিতে সই করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব ডা. মো. শফিকুর রহমান, সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কাজী শহিদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।