এক্সক্লুসিভ নিউজজাতীয়লিড নিউজ

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় দেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

এক্সক্লুসিভ নিউজ: গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,  গত ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা আগের ২৯ বছরেও হয়নি। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকার কারণেই এমন উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধনের সময় এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না। প্রতিটি মানুষের শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থানের জন্য আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারির পর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে। যেহেতু খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে, বাংলাদেশের যেন সে অবস্থা না হয়, এক ইঞ্চি জমিও আমরা অনাবাদি রাখব না। অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনব। খাদ্য উৎপাদন করব। দরকার হলে অন্য দেশকে সাহায্য করব।’

সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্দার প্রভাব যেন আমাদের ওপর না পড়ে, সে জন্য আমাদের সতর্ক হয়ে চলতে হবে। মিতব্যয়ী হতে হবে, সঞ্চয়ী হতে হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, তেল, পানি সবকিছু ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার লক্ষ্য সামনে নিয়ে তার আদর্শে আমরা চলছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে তুলছি। এই বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা মানুষের ভাতের ব্যবস্থা করেছি। দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, একটি মানুষও চিকিৎসাহীন থাকবে না। এভাবেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিঠামইনের দুর্গম এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সেজন্য তার নামে এই সেনানিবাস করা হয়েছে। তিনি যে দায়িত্বই পালন করেছেন অত্যন্ত নিষ্টার সঙ্গেই পালন করেছেন।’

এ সময় বর্তমান বৈশ্বিক মন্দার বিষয়টি তুলে ধরে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আবারো তাগিদ দেন সরকারপ্রধান। বলেন, এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না।’
দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইন উপজেলা সদরে গেলেন। এর আগে তিনি ১৯৯৮ সালে সেখানে গিয়েছিলেন। তখনকার হাওর আর বর্তমান সরকারের উন্নয়নের পর এখনকার হাওরের পার্থক্য স্বচক্ষে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর এ সফর। সকাল ১১টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে মিঠামইনে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি সেনানিবাস উদ্বোধন ও পতাকা উত্তোলন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈতৃক বাড়িতে অতিথি হয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে সেখানে অপেক্ষায় আছেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে জোহরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একই টেবিলে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামসহ পুরো হাওর এলাকায় উৎসমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বিকালে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button