এক্সক্লুসিভ স্বাস্থ্য বুলেটিনলিড নিউজস্বাস্থ্য

গরমে শিশুর ডায়রিয়া হলে

এই গরমে আপনার সোনামনির যত্ন - Shajgojকোথাও কোথাও ঝুপঝাপ বৃষ্টি হচ্ছে বটে, কিন্তু তাতে গরম কমার চেয়ে যেন বেশি হয়ে উঠছে। এই গরমে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরাই যেখানে হাঁসফাঁস করছে, সেখানে শিশুদের কথা আর কী বলব। অতিরিক্ত তাপমাত্রা খাবার ও পানিতে পানিবাহিত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও পরজীবীদের দ্রুত বেড়ে উঠতে সহায়তা করে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডায়রিয়া নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়; ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। তবে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা এবং পানিশূন্যতা যে ঠিক হচ্ছে না, সেটা বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের শরীরে কোষের বাইরের পানি বা এক্সট্রা সেলুলার ফ্লুইড বেশি থাকে। ফলে সহজে তাদের শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে।

এ জন্য ডায়রিয়াজনিত জটিলতা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ডায়রিয়া হলে শিশুদের বাইরের কোমল পানীয়, জুস, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়, চা কিংবা কফি খাওয়ানো যাবে না। মায়ের দুধ ছাড়া এ সময় অন্য কোনো দুধ শিশুর জন্য ক্ষতিকর। সেগুলো ডায়রিয়ার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে।

ডায়রিয়া হলে শিশুকে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। দুই বছরের নিচের শিশুদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চামচ, দুই বছরের বেশি বয়সীদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২০ থেকে ৪০ চামচ এবং বমি হলে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।

সব বয়সের জন্য স্যালাইন বানানোর নিয়ম একই। বয়স কম বলে আধা প্যাকেট বা কম পানিতে গুলিয়ে স্যালাইন বানানো যাবে না। এই স্যালাইন বানানোর ভুলের জন্য অনেক শিশুর জটিলতা বাড়ে। শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ান। সঙ্গে ভাতের মাড়, ডাবের পানি, চিড়ার পানি ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে ১৪ দিনের জন্য জিংক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। তবে শিশুর অতিরিক্ত বমি থাকলে বমি কমে গেলে আবারও খাওয়ানো শুরু করতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে 
⊲    শিশু কিছুই খেতে না পারলে।
⊲    অনবরত বমি করলে এবং নিস্তেজ হয়ে পড়লে।
⊲    স্যালাইন খাওয়ানোর পরও পানিশূন্যতা দেখা দিলে। যেমন শিশুর অস্থিরতা ও তৃষ্ণা খুব বেড়ে যাওয়া, চোখ গর্তে ঢুকে যাওয়া, শিশুর ত্বক শুষ্ক ও ঢিলে মনে হলে।
⊲    মলের সঙ্গে রক্ত বের হলে কিংবা ডায়রিয়া ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে।

ডা. নূরজাহান বেগম
স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা

এমন আরও সংবাদ

Back to top button