গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পাপুল আকন্দ নামে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য বাদশা মিয়ার (৫০) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ছুরির আঘাতে স্বপন (৩২) ও সবুজ (৩৪) নামের দুই ভাইও আহত হন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বেতকাপা ইউনিয়নের পূর্ব নয়নপুর গ্রামের একটি রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
বাদশা মিয়া বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি পূর্ব নয়নপুর গ্রামের আমিরুদ্দিনের ছেলে। পাপুল আকন্দ একই গ্রামের মোসলেম আকন্দের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীবাকর অধিকারী বলেন, অভিযুক্ত পাপুলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিহতের মরদেহ পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, এলাকায় রাতে ছিঁচকে চুরি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় খায়রুল ইসলামসহ কয়েকজন যুবককে প্রহরী নিয়োগ করা হয়। তারা এলাকায় ঘোষণা করেন, বিনা প্রয়োজনে রাত ১০টার পর বাড়ির বাইরে কেউ অবস্থান করতে পারবেন না। সোমবার রাত ১২টার দিকে রাস্তায় বের হলে পাপুল আকন্দের পথ রোধ করেন প্রহরী খায়রুল। এ নিয়ে দুজনের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য এগিয়ে যান ইউপি সদস্য বাদশাসহ প্রতিবেশীরা। উভয় পক্ষের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পাপুল সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে বাদশা মিয়াসহ অন্যদের এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় বাদশা এবং দুই সহোদর স্বপন ও সবুজ গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম মোকছেদ চৌধুরীর বিদ্যুৎ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল মণ্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।