শিঙাড়া খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছেন না তো ?
মুখরোচক খাবার হিসেবে শিঙাড়া দারুণ জনপ্রিয়। দুপুর কিংবা হোক সন্ধ্যা শিঙাড়া প্রেমিদের জন্য এই খাবারটি খেতে আলাদা সময় কিংবা উপলক্ষ্যের দরকার হয় না। ভাজাপোড়া খাবারের মধ্যে প্রায় সবার পছন্দের তালিকায় থাকে শিঙাড়া। হালকা নাশতা হিসেবে শিঙাড়ার আলাদা কদর রয়েছে। তবে এই খাবারটি স্বাস্থ্যকর নয় এমন অনেকেই বলেন। আসলেই কি শিঙাড়া অস্বাস্থ্যকর কিনা সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা যে উপায় ও উপাদানে শিঙাড়া বানিয়ে খাই, সেটা স্বাস্থ্যকর নয়। শিঙাড়ার মূল উপাদান ময়দা, আলু ও তেল। আলু ও ময়দা দুটোই শর্করা আর তেল হচ্ছে চর্বি। তার মানে আপনি শিঙাড়া খেলে খাদ্য উপাদান হিসেবে শুধুই শর্করা ও চর্বি পাবেন। কোনো প্রোটিন পাবেন না। আবার শিঙাড়া ভাজতে সচরাচর যে তেল ব্যবহার করা হয়, সেটা পোড়া তেল, তাতে ট্রান্সফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
বাদাম, মটরশুঁটি, সেদ্ধ ছোলা আর মুরগির মাংস এগুলো প্রোটিনজাতীয় খাবার। আলুর সঙ্গে এই উপাদানগুলো এবং বিভিন্ন রকম সবজি ব্যবহার করলে শিঙাড়া থেকে প্রায় সব ধরনের পুষ্টির উপাদান পাওয়া যাবে।
বাদাম, মটরশুঁটি, সেদ্ধ ছোলা আর মুরগির মাংস এগুলো প্রোটিনজাতীয় খাবার। আলুর সঙ্গে এই উপাদানগুলো এবং বিভিন্ন রকম সবজি ব্যবহার করলে শিঙাড়া থেকে প্রায় সব ধরনের পুষ্টির উপাদান পাওয়া যাবে। ছবি: সংগৃহীত
বাদাম, মটরশুঁটি, সেদ্ধ ছোলা আর মুরগির মাংস এগুলো প্রোটিনজাতীয় খাবার। আলুর সঙ্গে এই উপাদানগুলো এবং বিভিন্ন রকম সবজি ব্যবহার করলে শিঙাড়া থেকে প্রায় সব ধরনের পুষ্টির উপাদান পাওয়া যাবে। যদিও চর্বির পরিমাণ একটু বেশি থাকবে। শিঙাড়া ভাজতে অবশ্যই নতুন তেল ব্যবহার করতে হবে। এক তেল একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না।
কখন শিঙাড়া খাওয়া যাবে: শিঙাড়া কখনো রাতে খাবেন না। রাতের খাবারের পরে আমাদের বিশেষ কাজকর্ম থাকে না। কিন্তু দিনের বেলা খেলে সারা দিনের কাজকর্মে কিছু অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ হয়ে যাবে।
কলিজার শিঙাড়া: কেবল আলু নয়, কলিজার শিঙাড়াও দারুণ জনপ্রিয়। গরু, খাসি বা মুরগি কলিজা যারই হোক না কেন, কলিজা দিয়ে বানানো শিঙাড়ায় চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে সেটা বাদ দিন।