জীবনযাত্রা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কোনটা জানেন?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সুষম খাদ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সুষম পুষ্টি গ্রহণের পাশাপাশি পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিকর খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও-এর মতে, শরীর যেন প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান পায় তা নিশ্চিত করতে একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটে বিভিন্ন ধরনের খাবার অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০০ গ্রাম ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার গ্রহণ নিশ্চিত হবে।
মসুর ডাল, মটরশুঁটি, বাদাম এবং গোটা শস্য (যেমন, ওটস এবং বাদামী চাল) জাতীয় খাবার প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ। সুষম ডায়েটে অবশ্যই রাখতে হবে এগুলো।

মাছ, অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং উদ্ভিজ্জ তেলে পাওয়া অসম্পৃক্ত চর্বি গ্রহণ করতে হবে। মোট শক্তি গ্রহণের ৩০ শতাংশের কম চর্বি হওয়া উচিত। স্যাচুরেটেড ফ্যাট ১০ শতাংশের কম সীমাবদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি ট্রান্স ফ্যাট সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলতে হবে।

শর্করা গ্রহণ পরিমিত করতে হবে। অত্যধিক চিনি স্থূলতা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং দাঁতের ক্ষয়জনিত ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

অত্যধিক লবণ (সোডিয়াম) গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ এবং পরবর্তীকালে, কার্ডিওভাসকুলার রোগের একটি প্রধান কারণ। ডব্লিউএইচও বলছে, দৈনিক লবণের পরিমাণ ৫ গ্রামের কম (প্রায় এক চা চামচ) হওয়া জরুরি। অন্যদিকে, ফল এবং সবজিতে পাওয়া পটাসিয়াম রক্তচাপের উপর সোডিয়ামের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সাহায্য করে। ডব্লিউএইচও উচ্চ সোডিয়াম গ্রহণের সাথে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩.৫ গ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণের কথা বলছে।

প্রতিটি খাবারে শাকসবজি যোগ করুন, স্ন্যাকস হিসেবে তাজা ফল বেছে নিন এবং খাদ্যে বৈচিত্র্য আনতে মৌসুমি ফল খান। খাবার ভাজার পরিবর্তে স্টিম, সেদ্ধ বা বেক করুন। চিনির পরিবর্তে মিষ্টি ফল খান।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button