এক্সক্লুসিভ স্বাস্থ্য বুলেটিন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন জিঙ্ক

অনলাইন ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের এই সময়ে সবারই কমবেশি চিন্তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে। বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরাও বারবার বলছেন, ব্যক্তিগত সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে। ভিটামিন সি’র পাশাপাশি জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যতালিকায় জিঙ্কযুক্ত খাবার কম থাকলে, কোষের কার্যকারিতা কমে গিয়ে প্রোটিন তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় অবশ্যই জিঙ্কযুক্ত খাবার রাখা জরুরি।

মাংস

গরু ও মুরগির মাংস দুটোতেই জিঙ্ক রয়েছে। তবে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকায় হৃদরোগ, কোলেস্টেরল, প্রেশার, সুগার বা ওবেসিটি আছে যাদের, তারা গরুর মাংসের বদলে মুরগির মাংস খেলে ভালো।

মাশরুম

লো-ক্যালরির সবজি মাশরুমেও জিঙ্ক আছে পর্যাপ্ত। আছে ভিটামিন এ, সি, ই ও প্রচুর আয়রন। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাঝে-মধ্যে মাশরুম খেতে পারেন।

ওটস

ওটস জিঙ্কের ভালো একটি উৎস। অনেকেই সকালের নাশতায় ওটস খান। আধা বাটি ওটসে ১ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে। তার সঙ্গে ২৫০ গ্রাম লো-ফ্যাট ইয়োগার্ট থাকলে ২ দশমিক ৩৮ মিলিগ্রাম আর লো-ফ্যাট দুধ থাকলে ১ দশমিক ০২ মিলিগ্রাম জিঙ্কের জোগান হয়ে যায়।

নানা ধরনের ডাল

৫০ গ্রাম মসুরের ডালে ২ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম, ৯০ গ্রাম রাজমায় ২ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, ৮০ গ্রাম ছোলায় ১ দশমিক ২৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক আছে। মুগ ডাল ও ছোলাও উপকারী। এগুলো নিয়মিত খেতে হবে।

সবজি

এমনিতেই শরীরের জন্য বেশ উপকারী সবুজ শাকসবজি। জিঙ্কের জন্য পালংশাক, ব্রোকলি ও রসুনও খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

বাদাম ও কুমড়োর বীজ

২৮ গ্রাম কাজুবাদাম আর কুমড়োর বীজে যথাক্রমে ১ দশমিক ৬ মিলিগ্রাম ও ২ দশমিক ২ মিলিগ্রাম জিঙ্ক আছে। আমন্ড ও অন্যান্য বাদাম ও বীজেও প্রচুর জিঙ্ক থাকে।

এমন আরও সংবাদ

Back to top button