এক্সক্লুসিভ নিউজ ডেস্ক: আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সোমবার (২০ জুলাই) থেকে চার দিন ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বন্যার আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান বলেন, উজানে আগামী কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ঢলের কারণে দেশের নদ-নদীতে পানির চাপ বাড়তে পারে। তবে চলতি জুলাইয়ের শেষ কিংবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বন্যাদুর্গত এলাকার বাসিন্দারা এখনও খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে ভোগান্তির মধ্যে দিন পার করছে।
গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও তিস্তার পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে। ফলে তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার ২৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি।
কুড়িগ্রামে নতুন করে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গত রবিবার ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১২ সেন্টিমিটার, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৯ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বিকেলে ধরলার পানি বিপত্সীমার ৫৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়ায় ৫১ সেন্টিমিটার ও চিলমারীতে ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে দুই দিন ধরে যমুনার পানি কমতে থাকলেও কমেনি বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ। এখনো অনেক বসতবাড়ি ডুবে রয়েছে। এখনো পানিবন্দি রয়েছে জেলার সোয়া দুই লাখ মানুষ।
মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পদ্মার পানি বেড়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল সকাল ৯টায় পাউবো জানিয়েছে, শ্রীনগরের ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মার পানি পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপত্সীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মাওয়া পয়েন্টে দুই সেন্টিমিটার বেড়ে বিপত্সীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি আরো পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জেলার সাত উপজেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।