এক্সক্লুসিভ নিউজ, ঢাকা: সশস্ত্র বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগ ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত অফিসার এ বি সিদ্দিকী দিপুকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে এ বি সিদ্দিকী দিপুকে গ্রেফতার করা হয়। নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে সিদ্দিকই বেশি মারধর করেছিলো বলেও জানান তিনি।
এর আগে গতকাল বাসায় অভিযান শেষে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে একবছর করে কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে তাদের দু’জনকে এই সাজা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওয়াসিফ। মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, প্রোটকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।
ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী ধাক্কা সামলে মোটরসাইকেল থেকে নামেন। এসময় গাড়ি থেকে জাহিদ, দিপু ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিন জন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে নেমে আসেন এবং মারধর শুরু করে। তারা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ ও তার স্ত্রীকে ‘উঠিয়ে নেওয়া ও হত্যা’র হুমকি দেয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যায়।