তেলের বাজারে অস্থিরতা, বৈঠকে বসছে সরকার
অনলাইন ডেস্ক:ভোজ্যতেলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকার তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও রাজধানীর কোনো বাজারে তা মানা হচ্ছে না। দেশের ইতিহাসে খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। বর্তমানে বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৬ টাকায়।
যদিও সরকার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১২৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আর সুপার পাম অয়েরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৬ টাকা। সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর প্রায় মাস পার হয়ে গেছে। কিন্তু বাজারে তার কোনো প্রতিফলন নেই।
তেলের বাজারে এই অস্থিরতা কাটাতে আগামী সোম বা মঙ্গলবার তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমাদের ভোজ্যতেলের বাজার আমদানি নির্ভর। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে দেশের বাজারে কমবে না। করোনা মহামারির কারণে শ্রমিক সংকটে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় গত জুন-জুলাই মৌসুমে পাম অয়েল উৎপাদন আশানুরূপ হয়নি। একইসঙ্গে চীনের হঠাৎ অতিরিক্ত তেল সংগ্রহ তেলের বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনায় মৌসুম শুরু হবে। তাই এর আগে ভোজ্যতেলের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত সরিষা, সূর্যমুখীসহ অন্যান্য তেলবীজ থেকে সোয়া দুই লাখ টন তেল পাওয়া যায়। বাকিটা আমদানি করতে হয়। মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা থেকে এই তেল আমদানি করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের মাঝামাঝিতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকায় উঠেছিল। গত এক দশকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১০০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করলেও এক বছর ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম লাগামহীন। এজন্য ভোজ্যতেলের দাম কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর ছাড়ের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছিল। তবে সরকার অগ্রিম মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) আদায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।