বাজুস ফেয়ারে প্রত্যাশিত সাড়া পাচ্ছে আফতাব জুয়েলার্স
মো. সামসুল হক: দেশের জুয়েলারি শিল্পীদের হাতে গড়া অলংকার দেশে-বিদেশে তুলে ধরতে এবং এর পরিচিতি বাড়াতে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তৃতীয় দিনের মতো চলছে বাজুস ফেয়ার-২০২৩। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় গহনাপ্রেমী আর দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সব জুয়েলারিতে বিভিন্ন ধরনের ছাড় দিয়েছে আফতাব জুয়েলার্স।
আজ শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারি বিকালে আইসিসিবির নবরাত্রি হলে আয়োজিত মেলায় সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
আফতাব জুয়েলার্সের সেলস এক্সিকিউটিভ বলেন, আফতাব জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে মেলা উপলক্ষে সব জুয়েলারিতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ছাড় দিচ্ছি। আমরা গোল্ডসহ সব ধরনের জুয়েলারিতে মেকিং চার্জেও (মজুরি) ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি। এছাড়াও মেলা উপলক্ষে আমরা কিছু গিফট রেখেছি, যেগুলো র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
মেলার এই তিন দিনে কেমন বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ভালো সাড়া পাচ্ছি। সাপ্তাহিক শুক্র ও শনিবারকে কেন্দ্র করে মেলায় দর্শনার্থী বাড়ছে, বিকেল থেকে আরও দর্শনার্থী আসছে, ভিড় বাড়ছে। সব মিলিয়ে আমরা প্রত্যাশিত সাড়া পাচ্ছি।
জানা গেছে, বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন দ্বিতীয় বাজুস ফেয়ার আজ ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই চলবে। রাত ৯টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।
আয়োজকরা জানান, তিন দিনব্যাপী এই মেলায় স্বর্ণের অলংকারের ৮টি প্যাভিলিয়ন, ১২টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টল আছে। সেগুলোতে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড, আপন জুয়েলার্স, অলংকার নিকেতন (প্রা.) লিমিটেড, কুঞ্জ জুয়েলার্স, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লি., ভেনাস জুয়েলার্স লিমিটেড, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড ও জড়োয়া হাউস (প্রা.) লিমিটেড।
মিনি প্যাভিলিয়নে অংশ নেওয়া ১২টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- ভিনায়েক গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড, গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড, গৌরব জুয়েলার্স, নিউ ফেন্সি জুয়েলার্স, দি পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্স, জায়া গোল্ড, জারা গোল্ড, আলভী জুয়েলার্স, রিজভী জুয়েলার্স, রয়েল ডায়মন্ড, ড্রিমজ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি ও রাজ ঐশ্বরী গোল্ড।
স্টলে অংশ নেওয়া ৩০টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- এল কে জুয়েলার্স, চৌধুরী গোল্ড, গীতাঞ্জলী জুয়েলার্স, রিয়া জুয়েলার্স, আনন্দ জুয়েলার্স, ডায়মন্ড হাউজ, আফতাব জুয়েলার্স, ফারিহা জুয়েলার্স, আই. কে জুয়েলার্স লিমিটেড, রজনীগন্ধা জুয়েলার্স লিমিটেড, সুলতানা জুয়েলার্স (প্রা.) লিমিটেড, নিবিড় জুয়েলার্স, সিরাজ জুয়েলার্স, ডায়মন্ড বাজার অ্যান্ড গোল্ড, অনন্যা জুয়েলার্স, ডায়া গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড, ডি. ডামাস দি আর্ট অব জুয়েলারি, ডি. ডায়মন্ড, কুইন পার্ল হাউজ, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্স, সোল জেমস অ্যান্ড ডায়মন্ড, পলাশ জুয়েলার্স, ক্লাসিক গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারি, ডায়মন্ড কর্ণার, গোল্ড কিং জুয়েলার্স, দি সোনারগাঁ জুয়েলার্স, মনিমালা জুয়েলার্স, আর এন মাইক্রোটেক, বাংলাদেশ ডাইস হাউজ ও এসজিএল ল্যাব বাংলাদেশ লিমিটেড।