লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত
লেবাননের একটি শহরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাবাতিয়েহে একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এনএনএ—এর বরাত দিয়ে সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ আজ শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে।
লেবাননের সূত্রগুলো আবাসিক ভবনে হামলা হওয়ার কথা জানালেও ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একটি অস্ত্র ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছিল। তবে এই হামলায় হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ইসরায়েল।
এর আগে, গত ৩০ জুলাই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইসরায়েল লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের শহরতলি দাহিয়েহতে হামলায় চালায়। সেখানে হিজবুল্লাহর কমান্ডার ফুয়াদ শুক্র অবস্থান করছিলেন বলে জানতে পারে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ফুয়াদ শুক্রকে লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছিল।
ইসরায়েলের দাবি, তিনি গত শনিবার ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলার জন্য দায়ী। এই হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়। তবে হিজবুল্লাহ সেই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, ‘হিজবুল্লাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল।’
ফুয়াদ শুক্রিকে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বলে মনে করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁর সম্পর্কে তথ্য জানানোর জন্য ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১৯৮৩ সালে বৈরুতে একটি মার্কিন মেরিন ব্যারাকে বোমা হামলায় মাস্টারমাইন্ডের ভূমিকা করেছিলেন। সেই হামলায় ২৪১ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল।
এদিকে, বৈরুতে ইসরায়েলি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি হামলার পর হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্বাস করেন যে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বৃহত্তর যুদ্ধ এখনো এড়ানো সম্ভব।