মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে জখম, শিক্ষক গ্রেপ্তার
সোনাগাজীতে মাদ্রাসার চতুর্থ জামাতের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহকে (১২) বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কুঠিরহাট দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো. ইসমাঈল ওরফে নোয়াখালী হুজুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার মধ্যরাতে কুঠিরহাট থেকে মাওলানা মো. ইসমাঈলকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম।
ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার বিকালে পড়া না পারার অজুহাতে মাদ্রাসার চতুর্থ জামাতের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহকে (১২) বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে তিন ঘন্টা আটকে রাখেন শিক্ষক মো. ইসমাঈল। ওই দিন সন্ধ্যায় মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে ছাত্রের অভিভাবকরা খবর পেয়ে ছাত্রের মামা সুমন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ওমর ফারুক স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মাদ্রাসার অফিস কক্ষ থেকে ছাত্রটিকে উদ্ধার করে কুটিরহাট বাজারে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে শিশু আইনে শনিবার দুপুরে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কুঠিরহাট দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো. ইসমাঈল হুজুরকে রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাথে কথা বলে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জুবায়ের হোসেন বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাটি দুঃখজনক। শিক্ষকের অপরাধ প্রতিষ্ঠান বহন করবে না। যে অপরাধ করবে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রোববার মাদ্রাসার জরুরী সভা (মিটিং) ডাকা হয়েছে। সভা থেকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।