জাতীয়
সারাদেশে চলছে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি
এক্সক্লুসিভ নিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে সারাদেশে বিশেষ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত ৭৫ লাখ ডোজ টিকা দেয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সঙ্গে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিও চলবে।
এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী যাদের ২৫ বছর বা তার বেশি তাদের সোমবার রাতেই এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়ার কথা রয়েছে। টিকা নিতে আসার সময় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হবে। বর্তমানে প্রতিদিনের টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে ৫ থেকে ৬ লাখ মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন।
এর আগে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম টিকা ক্যাম্পেইনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। সারা দেশে স্থায়ী কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি অস্থায়ী কেন্দ্রেও চলছে টিকা দান। প্রতিটি কেন্দ্র্রে ৫০০ জনকে দেয়া হবে টিকা।
সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোয় রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। তবে ভিড় থাকলেও সুশৃঙ্খলভাবে সবাই টিকা পাচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যারা এসএমএস পেয়েছেন তাদেরকেই আজ টিকা দেয়া হচ্ছে। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটির অস্থায়ী কেন্দ্রগুলোয় দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হবে টিকা দান। এই কেন্দ্রগুলোয় আগামীকালও চলছে এই কার্যক্রম।
দেশের ২ কোটি মানুষের মধ্যে যারা নিবন্দন করেও এতদিন টিকা পাননি তাদের মধ্য থেকে ৭৫ লাখ মানুষকে আজ টিকা দেয়া হচ্ছে। সারাদিন টিকা দান সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে বলে এই কর্মসূচি।
এ কর্মসূচিতে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে তিনটি, পৌরসভায় একটি এবং সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথ থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৫ শ, পৌরসভার কেন্দ্রে ৫ শ এবং সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে এক হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
এ কার্যক্রমে অংশ নেবেন ৩২ হাজার ১০৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী। পাশাপাশি ৪৮ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী টিকাদান কর্মসূচিতে সহায়তা করবেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৭ লাখের বেশি মানুষ সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে কোভিড টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ২ কোটি ৪৮ লাখের বেশি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬৪ লাখের বেশি মানুষ।