ফের তেল -চিনির দাম বাড়ানোর পায়ঁতারা
তেল ও চিনির দাম সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু খুচরা বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এ দুটি পণ্য। এখন আবার দাম বাড়াতে চান মিল মালিকরা।
মিল মালিক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সামনের দিনগুলোতে দাম বাড়বে তা নিশ্চিত। তবে কত বাড়বে এটাই এখন পর্যালোচনার বিষয়।
আন্তর্জাতিক বাজার, দেশে আমদানি পরিস্থিতি ও শুল্ক পর্যালোচনা শেষে আগামী সপ্তাহের শুরুতে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এ বিষয়ে (৩ অক্টোবর) রোববার বৈঠক হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
তারা বলছেন, মে মাসে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে সেই মূল্য পুনর্বহাল করা হয়েছে।
সর্বশেষ নির্ধারিত দাম অনুসারে দেশের বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ ১২৯ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। বোতলজাত প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ ৭২৮ টাকা এবং খোলা প্রতি লিটার পাম সুপার তেল ১১৬ টাকা দরে বিক্রি হবে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এই দাম মানা হচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রেই।
নতুন করে চিনির দাম নির্ধারণ করা হয় গত ৯ সেপ্টেম্বর। ওই সময় চিনির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মিল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৪ টাকায় এবং প্যাকেটজাত চিনি ৭৫ টাকা দাম বেঁধে দেয়। পরে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। কিন্তু চিনির ক্ষেত্রে একই অবস্থা।
খুচরা বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে চিনির দাম প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এই মূল্য গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা এখনও পর্যাপ্ত তথ্য পাননি। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক, কাস্টমস, রয়টার্স ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মাধ্যমের দাম, আমদানি, মজুদসহ নানা তথ্য পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাই কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আসেনি এখন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আবারও বসবেন। তবে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারের দামের তথ্য বলছে দেশে বাড়ানোর প্রস্তাব যৌক্তিক। তবে সেটা কত তা বলা যাচ্ছে না।