ইমাম নিয়ে বিরোধে নামাজ না পড়েই সংঘর্ষে জড়ালেন গ্রামবাসী, আহত ১৫
ঝিকরগাছায় মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামকে রাখা না রাখা নিয়ে বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় উপজেলার দেউলি আতিয়ার রহমান খান ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, মাওলানা আব্দুর রউফ (৫০) দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে আসছেন। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অসুস্থতার কারণে তিনি এতিমখানা মসজিদে নামাজ পড়াতেও আসতেন না। আজ জুমার নামাজে তিনি উপস্থিত। তখন মুসল্লিদের একাংশ প্রশ্ন তোলেন—ইমামতি থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কি না। তখন মাদ্রাসার সভাপতি আলী কদর বলেন, তিনি ইমামতি করতে পারবেন। এ সময় এলাকার নুর হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তিনি যদি ইমামতি করতে পারেন তাহলে তাঁকে মাদ্রাসাতে ফিরিয়ে আনতে হবে। মাদ্রাসা থেকে তাঁর অব্যাহতি প্রত্যাহার করতে হবে।
এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ জুমার নামাজ না পড়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী উজ্জ্বল বলেন, দেউলী গ্রামের নুর হোসেনের নেতৃত্বে বাদশা, হায়াত, রিপন, আব্দুল্লাহ, আরিজুল, বিপ্লব ও মাসুম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হন—সেলিম, আনারুল, আসাদুজ্জামান, আব্দুল, মুক্তার, আক্তার, রিংকু, শহিদুল, সোহরাবসহ ১৫ জন। আহতরা যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ওসি কামরুজ্জামান বলেন, মাওলানা আব্দুর রউফ (৫০) দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে আসছেন। কিছুদিন তিনি অসুস্থ হওয়ায় গ্রামের একটি গ্রুপ তাঁকে সরিয়ে দিতে চাইলে গ্রামবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে আজ মসজিদের ভেতরে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ঝিকরগাছা থানার ওসি সুমন ভক্ত বলেন, সংঘর্ষের পর শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।